সমীরণ পাল, দেগঙ্গা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বাছাইতে স্বজনপোষণের আশঙ্কায় দেগঙ্গায় কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিক্ষোভ। প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 


গতকাল পঞ্চায়েত অফিসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম স্ক্রুটিনির কাজ চলছিল। স্বজনপোষণের জেরে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কায় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। 


দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ও বিডিও ঘটনাস্থলে যান। স্বজনপোষণের আশঙ্কা নস্যাৎ করেছেন তৃণমূল প্রধান। 


দুয়ারের সরকারের পরে লক্ষ্মীরর ভাণ্ডারের প্রায় কয়েক হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।


অভিযোগ, এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম নিয়ে স্বজনপোষণ করছে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান। দাবি ওঠে, তাঁদের মনোনীত ব্যক্তিদের দ্বারা সেই আবেদনপত্রগুলি বাছাই করছিলেন পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে।  


এই খবর পেয়ে কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীরা দলবল নিয়ে এসে কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখান এবং জীবনপুর বাগজোলা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।  


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। কিন্তু, পুলিশের সামনেই দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলে। বিক্ষোভকারীদের দাবি,  লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে দুর্নীতি করছেন পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাঁরা তাঁদের নিজেদের মনোনীত ব্যক্তিদের দ্বারা যে ফর্মগুলি বাছাই করছেন, সেগুলি বাতিল করতে হবে।


এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে উপপ্রধান গফ্ফার আলি মোল্লা এবং প্রধান অজয় বৈদ্য জানান, সরকারি নির্দেশে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্মের বাছাইপর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে চলছিল।  


অভিযোগ, সেই সময় বেশ কিছু লোক নিয়ে এসে পঞ্চায়েত প্রাক্তন প্রধান মাধুরী চৌধুরী পঞ্চায়েতের মধ্যে ঢুকে অস্থায়ী কর্মচারীদের মারধর করেন। তবে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং দেগঙ্গা বিডিও।  


বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দেগঙ্গা কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।