সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্তের জামিন। সেই খবর ছড়াতেই তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে আগরপাড়ায়। ক্ষোভে ফুঁসছে আগরপাড়া। এই সময়েই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন নিহত কাউন্সিলরের শ্যালিকা।


কী দাবি:
নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের শ্যালিকা প্রিয়ঙ্কা দাস বলেন, 'আমার মা বলল দিদি বাচ্চা দুটোকে নিয়ে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছে। বাপি পণ্ডিতের জামিন শুনে এই কাজ করতে গিয়েছে।' খবর পেয়েই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দাবি পরিবারের। এখন পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাক্ষি দত্ত। 


তীব্র ক্ষোভ নিহতের দাদার:
নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের দাদা এদিন বলেন, 'আমরা প্রথম থেকে পুলিশ-প্রশাসনের উপর ভরসা রেখেছিলাম। এখনও রাখছি। কিন্তু ওরা জামিন পেয়ে গেল। আমার ভাইকে যে মারল জামিন পেয়ে গেল।'


এদিন জামিনের খবর পাওয়ার পরেই রাস্তায় নেমে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করা হয়। পুলিশকে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের দাবির কথাও শোনা যায় আন্দোলনরত তৃণমূল কর্মীদের মুখে। 

১৩ মার্চ পানিহাটিতে অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। বাইকে বসা অবস্থায় পিছন থেকে এসে খুন করা হয়। সেদিনই ধরা পড়েছিল অভিযুক্ত। 'আমরা আসামীকে ধরে দিয়েছি। আপনারা ধরেননি।' এমনও বক্তব্য শোনা যায় উত্তেজিত জনতার মুখে। গত পুরভোটের ফল বেরনোর কয়েকদিন পর, গত ১৩ মার্চ, পাড়ার দোকানের সামনে স্কুটারে বসা অবস্থায় পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় শ্যুটার অমিত পণ্ডিত। মূল ষড়যন্ত্রকারী অমিতেরই আত্মীয় বাপি পণ্ডিত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এই মামলায় চার্জশিটও জমা দেয় পুলিশ। কিন্তু সোমবার অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতকে জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রাত সাড়ে নটা নাগাদ টায়ার জ্বালিয়ে বিটি রোড অবরোধ হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলেও, বিক্ষোভ তুলতে ব্যর্থ হয়। নিহত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। 


আরও পড়ুন: পানিহাটিতে কাউন্সিলর খুনে মূল অভিযুক্তের জামিন, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু