সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ওমিক্রন-আতঙ্কের (Omicron) মাঝেই উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ। স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে খবর, চলতি বছরে ইতিমধ্যেই শহরাঞ্চলে ১ হাজার ৫১৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তুলনামূলকভাবে জেলার ২২টি ব্লকে অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলে ২২৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। সবথেকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিধাননগরে (Bidhannagar)। পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৫৬৬ জন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা শহরাঞ্চলে বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। অন্যদিকে, মশার দাপট বাড়ায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা।


শীত পড়লেও রেহাই নেই মশাবাহিত রোগের হাত থেকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহর এলাকায় ১ হাজার ৫১৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ২২৪। এর মধ্যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিধাননগর এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে শহরাঞ্চলের মধ্যে বিধাননগরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৬ জন। দক্ষিণ দমদমে ১৯৫ জন। ১৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন কামারহাটিতে। বরানগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮। পাশাপাশি, ভাটপাড়ায় ৫৭ জন। খড়দায় ৪২ , বারাসাতে ৪৭ মধ্যমগ্রামে ৪৮ ও পানিহাটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। অশোকনগর থেকে বারাসত, বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেড়েছে মশার উপদ্রব।


জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে,  জেলার গ্রামাঞ্চলের মধ্যে রাজারহাট ব্লকে ৬২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। দেগঙ্গায় ২৪ জন। ব্যারাকপুর ২ নম্বর ব্লকে ৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে। জেলার বিভিন্ন শহর এলাকায় যে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে, তা মানছেন জেলা পরিষদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য দফতরের স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। জেলা পরিষদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য দফতরের স্থায়ী কমিটির কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, “শহরাঞ্চলে একটু বেশিই হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণে। তবে শীত বাড়লে কমবে। আগামী বছর যাতে এই পরিস্থিতি না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’


আরও পড়ুন: Hooghly News: নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করতে গিয়ে বিপত্তি, ধস নেমে একাধিক বাড়িতে ফাটল