সমীরণ পাল, বনগাঁ: উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পরিবহণ কর্মীদের আন্দোলনের জেরে আজও বন্ধ রফতানি। পরিবহণের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অভিযোগ, পেট্রাপোল আইসিপি-তে ঢোকার মুখে নানা সময় বিএসএফ জওয়ানদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এরই প্রতিবাদে শুরু হয়েছে আন্দোলন।


আন্দোলনকারীদের দাবি, ইউনিক কার্ড ছাড়া কোনও পরিবহণ কর্মীকে আইসিপি-র মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমদানি-রফতানির সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীদের। এরই প্রতিবাদে গতকাল থেকে রফতানি বন্ধ করে দেন পরিবহণ সহ পেট্রাপোল সীমান্ত বন্দরে আমদানি-রফতানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীরা। আজও তাঁদের আন্দোলন চলছে। তার ফলে ব্যাহত হচ্ছে রফতানি।


করোনা সংক্রমণের জেরে ২০২০ থেকেই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পণ্য আদান-প্রদানের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। গত দু’বছরে বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থেকেছে আমদানি-রফতানি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ‍্যে জট কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। পেট্রাপোল সীমান্তে ফের পণ্য পরিবহণ শুরু হয়।


উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পেট্রাপোলের ল‍্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির ম‍্যানেজারকে চিঠি দেন জেলাশাসক। চিঠিতে সুরক্ষা বিধি মেনে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করার কথা বলা হয়। সুরক্ষা বিধির মধ‍্যে বলা হয়, ১০০ জন চালকের একটি দল তৈরি করা হবে। এঁদের মধ‍্যে কেউ করোনা সংক্রমিত হলে রিজার্ভ থেকে অন‍্য চালক দেওয়া হবে। সব গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা হবে। পিপিই পরে পণ‍্য খালাসের কাজ হবে। সীমান্তে স্বাস্থ্য দফতরের টিম থাকবে। 


সূত্রের খবর, এই চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠায় পাঠায় ল‍্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি। তারপরেই শুরু হয় সীমান্ত বাণিজ্য।


লকডাউন পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধ ছিল সীমান্ত বাণিজ্য। ৩০ মে কেন্দ্র সীমান্ত বাণিজ্য চালু করতে বললেও সংক্রমণের আশঙ্কায় পেট্রাপোলে তা শুরু হয়নি। তবে শেষপর্যন্ত ফের বাণিজ্য শুরু হয়। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই আন্দোলনের জেরে ফের বাধা পড়ল বাণিজ্যে।