নিউটাউন : নিউটাউনের (Newtown) আকাঙ্ক্ষা মোড়ের কাছ থেকে মাদক-সহ গ্রেফতার (Arrest) চার জন। ধৃতদের মধ্যে আছে দু'জন বি টেক ইঞ্জিনিয়ারও (B.tech Engineer)। সোমবার রাতে রাজ্য এসটিএফ ও ইকো পার্ক থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই চার জনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় প্রায় ২৫০ গ্রাম মাদক।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা গত কয়েক মাস সাপুরজিতে থাকছিল। তারা মালদা, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বাসিন্দা। মাদক কোথা আনা হচ্ছিল তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা কোনও বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত।
দিনকয়েক আগেই ৭০ গ্রাম হেরোইন-সহ (Heroin) ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় বনগাঁ থেকে। তার কাছ থেকে নগদ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। সে কোনও মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা জানতে তদন্ত নামে পুলিশ।
আরও পড়ুন ; ঠেকানো যাচ্ছে না নেশার কারবার, ৭০ গ্রাম হেরোইন-সহ বনগাঁয় গ্রেফতার মণিপুরের যুবক
গত বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর নেহরু নগর ঘোষ পাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় ওই যুবককে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকায় পুলিশে বনগাঁ থানায় খবর দেন এলাকার মানুষ। তাতেই পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেফতার করে।
ধৃত ব্যক্তি আদতে মণিপুরের বাসিন্দা বলে জানা যায়। নাম মহম্মদ আমির খান। বয়স ২১ বছর। বনগাঁ থানায় রেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত সংল্গন বনগাঁয় মাদক চক্রের রমরমা বহু দিনের। মাদক চক্রের জাল এতটাই ছড়ানো যে, মোবাইলে বরাত দিলে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে প্রকাশ্যে কিছু লোক কাজ করে চলেছে বলেও দাবি পুলিশের। পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও, মাদক চক্রের রমরমা ঠেকানো যায়নি। বরং করোনা কালে বাড়ি বাড়ি মাদক পৌঁছে দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে বলে সামনে এসেছে।