সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জলাশয়ের উপরে অবৈধ নির্মাণ ভাঙল পৌরসভা, অপর আর একটি নির্মান কার্য বন্ধ করার নির্দেশ দিল পৌরসভা। 


জলাশয়ের উপরে অবৈধ নির্মাণ


উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বসাকপাড়া এলাকায় একটি জলাশয়ের উপরে ঘর নির্মাণ করেছিল ওই এলাকার মোহন সরকার নামে এক ব্যক্তি । এলাকার সাধারণ মানুষ পৌরসভাতে একটি অভিযোগ জমা দেয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পৌরসভা তদন্ত করে এবং ভূমি দফতরকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়। পৌরসভা ও ভূমি দফতরের তদন্তের পরে জানা যায়, জলাশয়ের উপরে পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই বাড়ি নির্মাণ করেছে মোহন সরকার। তাকে এক বছর সময় দেওয়া হয়েছিল, নির্মাণ কাজ ভেঙে নিতে। কিন্তু তিনি ভেঙে নেয়নি। এরপরেই সেই নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়।


অবৈধ নির্মাণের উদাহরণ আরও


সম্প্রতি গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল একটি বাড়ি। ক্ষতির বহরও ছিল অনেক। যা নিয়ে রীতিমত চাপের মুখে পড়েছিল কলকাতা পুরসভা তথা মেয়রও। জল গড়িয়েছিল অনেকদূর। কীভাবে ওই বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিল। যদিও পরে এনিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল। যদিও এখানেই বিষয়টি শেষ হয়নি। এর পরেই কলকাতা পুরসভা কড়া নজরদারি চালায়, যে কোথায় কোথায় বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। যা নিয়ে অ্যাপ তৈরি হয়েছে।


আরও পড়ুন, ভোর থেকেই ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা ? গভীর নিম্নচাপের সতর্কতার তালিকায় আপনার জেলা নেই তো?


এরপর কড়া হাতে সামাল দেয়, এবং খুঁজেও বারবার করা হয় একের পর এক বেআইনি নির্মাণ। কিন্তু কথা হচ্ছে, বারবার তিক্ত ঘটনার পরেই কেন নজর পড়ে, কেন আগাম সতর্কতা জারি হয় না, এনিয়ে বিরোধীরাও কম প্রশ্ন তোলেনি। সম্প্রতি প্রবল বর্ষণে বাগনান থানার বাঁকুড়দহ গ্রামে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল দোতলা পাকা বাড়ি। বাগনান দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ওরফুলি অঞ্চলের বাঁকুড়দহ গ্রামের বাসিন্দা  বিশ্বনাথ সামন্তর বাড়ি হুড়মুড়িয়ে পাশের পুকুরে ভেঙে পড়েছিল।যদিও বাড়িটি ভেঙে পড়ে তখন ঘরের মধ্যে কেউ ছিলেন না। ঠিক কী কারণে ওই দোতালা বাড়ি ভেঙে পড়ল, তার প্রকৃত কারণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।