সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া। প্রকাশ্যে সাংসদ বিধায়ক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে (TMC Inner Clash)। গতকাল রাতে মেঘনা মোড় এলাকায়। অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনিতা সিংয়ের ছেলে নমিত সিংহের গন্ডগোল বাধে। দু-পক্ষ একে অপরের দিকে গুলি চালানোর অভিযোগ করে। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ। ঘটনায় কাউন্সিলরের পুত্র নমিত সিংহ-সহ দুপক্ষের মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল তৃণমূল কাউন্সিলর। দলের নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছিল। যদিও এই নিয়ে, মুখ খুলতে চাননি পুরসভার চেয়ারম্যান। তৃণমূল কাউন্সিলর দুর্নীতির অভিযোগ করায় তোপ দেগেছিল বিজেপি। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরেও সামনে এসেছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।


সম্প্রতি বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় পঞ্চায়েতে তৃণমূল নেতৃত্বের নির্বাচিত প্রার্থীকে ভোটাভুটিতে হারিয়ে প্রধান হন দলেরই এক সদস্য। অন্যদিকে, বোর্ড গঠন নিয়ে শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। শুরুটা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে। মনোনয়ন, থেকে প্রার্থী নির্বাচন পেরিয়ে এবার বোর্ড গঠন। শাসক-দ্বন্দ্বের সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে।


বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের নির্বাচিত প্রার্থীকে ভোটাভুটিতে হারিয়ে প্রধান হলেন দলেরই এক সদস্য। নির্বাচনে পঞ্চায়েতের ২০টি আসনেই জয়ী হয় শাসক দল। প্রধান হিসাবে বিবেক শী ও উপপ্রধান পদে শীলা রুইদাসের নাম প্রস্তাব করে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বোর্ড গঠনের দিন দলের নির্দেশ না মেনে প্রধান হিসাবে প্রদীপ পালের নাম প্রস্তাব করে তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। এবং ভোটাভুটিতে তিনিই জয়ী। দলবিরোধী কাজের অভিযোগেএৎপর  নবনির্বাচিত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি-সহ ৩ জনকে শোকজ করে তৃণমূল। 


আরও পড়ুন, রেশনে ৪ কেজির উপরে গরমিল, 'ভুলের' মাশুল দিলেন ডিলারের ছেলে


অন্যদিকে, বোর্ড গঠন নিয়ে শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পটাশপুরেও। পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে দলীয় নেতৃত্বর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি। সম্প্রতি শেষ হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। মনোনয়ন থেকে প্রার্থী বাছাই, পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে এসেছিল শাসকদলের কোন্দল। ভাঙচুরও করা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়। এবার দলীয় নতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে পদত্যাগ করেছিলেন তৃণমূল নেতা।