সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সামীন্তে ধৃত বাংলাদেশিদেরকে ( Bangladesh) বাড়ি ফেরানো হল হেম্নগর কোস্টাল থানা ও বিএসএফ (BSF) ১১৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ান ও যৌথ সহযোগিতায়। ৭ মাস পরে ছাড়া পেয়ে খুবই আনন্দিত সবাই।
ভাসতে ভাসতে সমুদ্রে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের প্রত্যন্ত সুন্দর বনের হেম্নগর কোস্টাল থানা বিএসএফ ১১৮ নং ব্যাটেলিয়ানে, ৭ মাস আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার-সহ ৮৮ জন ব্যক্তি ভাসতে ভাসতে সমুদ্রে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে। সেই সময় আর পুকুরের জলে ডিউটিরত গ্রীন পুলিশবাহিনী ধরে ফেলে। সেখান থেকে কাকদ্বীপ থানাতে পাঠানো হয়।পরবর্তী ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তাঁদের ঠিকানা হয় সংশোধানাগার।
এত জন বাংলাদেশিকে একসঙ্গে পার হতে জীবনে কোনওদিন দেখেননি
সেখান থেকে ৭ মাস পরে ছাড়া পেলেও নিয়ম অনুযায়ী বিএসএফ ও হেম্নগর কোস্টাল থানার সহযোগিতায় ওপারের বর্ডার গার্ডের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁর আগে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ফ্লাগ মিটিং হয় কালিন্দী নদীর মাঝখানে। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে রফিক উদ্দিন নুরুল খালেক এদের বাড়ি বাংলাদেশের কৌতুক গ্রাম।এই টিমে ৮৮ জন সবাই পুরুষ । রামপ্রসাদ মন্ডল নামে ভারতীয় এক ব্যক্তি তিনি বলেন, এত জন বাংলাদেশিকে একসঙ্গে পার হতে জীবনে কোনওদিন দেখেননি। ধৃত ব্যক্তিরা এতদিন পরে নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে পেরে খুব আনন্দিত।
বাংলাদেশির কাছ থেকে পুলিশ জাল আধার কার্ড, ভোটার আই কার্ড এবং পাসপোর্ট উদ্ধার
আরও পড়ুন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে অপারেশনের জন্য অতিরিক্ত টাকা দাবি, কাঠগড়ায় হাওড়ার নার্সিংহোম
চলতি বছরে ডোমজুড়ের বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সুমন এবং মহম্মদ মুনিরকে। ওই দু'জন বাংলাদেশির কাছ থেকে পুলিশ জাল আধার কার্ড, ভোটার আই কার্ড এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে। জানা গেছে জাল পাসপোর্টের তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা ওই দুজনের সন্ধান পান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রিপন হাওলাদারের সন্ধান পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সে দু'বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। এরপর পাকাপাকিভাবে মৌখালী এলাকায় বসবাস শুরু করেন। রিপন মাসখানেক আগে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে আরও দুই ধৃত বাংলাদেশীকে এদেশে মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়ে আসেন। তাদের নকল পরিচয় পত্র তৈরি করে দেন।