সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: প্রকাশ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ( Civic Volunteer) মারধরের অভিযোগ উঠল টোটোচালকের (Toto driver) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরেl চলতি বছরে একের পর এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ইস্যুতে ঘটনা ঘটেছে। কখনও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযাগ, কখনও আবার তাঁরাই অত্যাচারের শিকার। এক্ষেত্রে দ্বিতীয়টা। এই ঘটনায় পুলিশ দুজন টোটোচালককে গ্রেপ্তার করেছে l যদিও এই ঘটনা নিন্দনীয় বলে জানিয়েছেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh)l
জানা গিয়েছে, সোদপুর ট্রাফিক গার্ডের এক সিভিক পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সোদপুর ব্রিজের সামনে সোদপুর মধ্যমগ্রাম রোডে ডিউটি করছিলেনl ঠিক সেই সময় রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিলl পুলিস সূত্রে খবর, টোটো চালকরা ওই ব্রিজের মুখথেকে ইউ -টার্ন নিচ্ছিল। সেই সময় সিভিক ভলেন্টিয়ার বাধা দেয় l টোটো চালকের সঙ্গে পুলিশের বাবানুবাদ শুরু হয় l প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন টোটো চালক জড়ো হয়ে যায়। সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধর করে। হাতে আঘাত লাগে। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ এলে, তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে খড়দহ থানার পুলিশ আসেl পুলিশ দুজন টোটোচালককে গ্রেপ্তার করেছে l পাল্টা টোটোচালকদেড় অভিযোগ, পুলিশ টোটোচালকদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে টোটো-চালকদের মারধর করেl যদিও 'এই ঘটনা নিন্দনীয়' বলে জানিয়েছেন বিধায়ক নির্মল ঘোষl আক্রান্ত সিভিক ভলেন্টিরের নাম সঞ্জীব ওরাও তাঁকে খড়দহ বলরাম স্টেট্ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়l
উল্লেখ্য, এর আগে মালদায় আক্রন্ত হয় সিভিক ভলান্টিয়ার। সিগনাল ভেঙে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ওঠে বাইক চালকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাইক আরোহীকে ধরে পরে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটে মালদার চাচঁল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, সিগনাল ভেঙে একটি মোটরবাইক দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছিল দেখে, কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার সেটি আটকানোর চেষ্টা করেন। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। বাইক-আরোহী ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। চোখের সামনে এহেন ঘটনা দেখে প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। প্রকাশ্যে বাইক-আরোহীকে চড় থাপ্পর মারেন তাঁরা। এর পরই চাঁচল থানার পুলিশ এসে বাইক আরোহীকে আটক করে নিয়ে যায়। এদিকে সেপ্টেম্বরেই শুধু নয় একাধিক মর্মান্তিক ঘটনার উদাহরণ রয়েছে।
আরও পড়ুন, পুজোয় প্রথম থিম সং গাইলেন মদন, ছন্দে মেলালেন পা-ও
চাঁচলেই বাড়ির পাশের আমবাগান থেকে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যদি আত্মঘাতী নয়, 'খুন'-র অভিযোগ তোলে পরিবার। পাশাপাশি কলকাতাতেও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি মে মাসে কসবা এলাকায় ঘটে। রাতের শহরে মত্ত বাইক চালকের হাতে আক্রান্ত হন দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মুখে ঘুষি মারেন ওই বাইক চালক। আর এক সিভিক ভলান্টিয়ারের গালে কামড়ে দেন। ওই বাইক চালককে গ্রেফতার করে কসবা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, এক বাইক চালক দৃশ্যতই মত্ত অবস্থায় এক মহিলাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ বাইক থামালে বচসা বেঁধে যায়। তখন পুলিশ কর্মীরা ওই মহিলাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাইক চালককে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে ফের ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, তখনই দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারের ওপর হামলা করেন অভিযুক্ত বাইক চালক।