সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ডেঙ্গি রোগীর (dengue) মৃত্যু (death) নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা (political controversy। দেগঙ্গার ঘটনা। পরিবারের দাবি, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু (death) হয়েছে। কিন্তু সরকারি হাসপাতাল (government hospital) কেন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করছে তার জবাব দিকে হবে। মৃতের নাম শাহানার বিবি। বয়স ৩৪ বছর। 


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙ্গার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর গত সোমবার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গি পজেটিভ ধরা পড়ে। হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর পরিবারকে ফোন করে ওই দিনই ভর্তি করানো হয়। তিন দিন চিকিৎসা চলার পরও বুধবার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে বারাসাত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। মৃতের স্বামী মশিয়ার রহমানের দাবী, তাঁর স্ত্রীর ডেঙ্গিতেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সরকারি হাসপাতাল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করেছে। কেন হল এরকম? জবাব চান এঁরা। এই নিয়ে দেগঙ্গায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। 


কী বলা হচ্ছে?
বারাসাত সংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, 'রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা অত্যন্ত বেহাল। যেখানে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি হাসপাতাল তথ্য গোপন করে। বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল থেকে ফোন করে ডেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে বলে ওই গৃহবধূকে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু যখন মারা যাচ্ছেন, লেখা হচ্ছে সেপটিসেমিয়াতে মৃত্যু। মুখ্যমন্ত্রীর ভয়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা প্রকৃত সত্য লিখতে ভয় পাচ্ছেন। তাই এই সরকারের অবসান হওয়া দরকার।' বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তুষারকান্তি দাস। তাঁর দাবি, ২০১৮-১৯ সালের তুলনায় দেগঙ্গার ডেঙ্গি পরিস্থিতি এ বছর অনেকটাই ভালো। ভারতীয় জনতা পার্টি অর্থাৎ বিজেপির কটাক্ষকে তৃণমূল কংগ্রেস গুরুত্ব দেয় না। কারণ এরা কাজের কাজ কিছু করতে পারে না। তবে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে জানে। তাঁর দাবি, দেগঙ্গার ভিআরপি ভিসিডি স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। ডেঙ্গি প্রতিরোধ করছেন। ডেঙ্গি রোগীরা মৃত্যুর তথ্য গোপন করেছেন। এই অভিযোগের জবাব দেবে স্বাস্থ্য দপ্তর। আর এই নিয়ে দেগঙ্গায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


আরও পড়ুন:'আমাদের এখানে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি; বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শাসকদলকে আক্রমণ শুভেন্দুর