অরিত্রিক ভট্টাচার্য, উত্তর ব্যারাকপুর: ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীকে বেধড়ক মারধর ! এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি। ভিস্যুয়াল দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। উত্তর ব্যারাকপুর ( North Barrakpore) পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী দেবাশিস দে-কে ঘুসি, চড়-থাপ্পড়, কিছুই বাদ গেল না ! মারের চোটে ছিঁড়ল পাঞ্জাবি। দেখা গেল ক্ষত। কোনও ক্রমে প্রাথমিক চিকিৎসা করেই গত ১০ বছরের কাউন্সিলর  দেবাশিস দে বললেন, এক ভোটার ভোট দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। তার প্রতিবাদ করেন তিনি। তা নিয়েই 'তৃণমূল সমর্থকদের' সঙ্গে তাঁর বাগবিতণ্ডা হয়। তারপরই শুরু হয় কিল, চড়, থাপ্পড়। আক্রমণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই। 


অন্যদিকে, সাতসকালে বারাসাতে (Barasat) বুথে ঢুকে তাণ্ডব চালান বিজেপি প্রার্থী (BJP)। অভিযোগ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭/১ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী শ্যামলী দাশগুপ্তর এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। সেই রাগে বিজেপি প্রার্থী আছাড় মেরে ইভিএম ভেঙে দেন। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে বিজেপি প্রার্থীর। তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়। ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। 


রবিবার রাজ্যের ২০টি জেলার ১০৮টি পুরসভায় ভোট। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যদিও অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে আগে থাকেই।  বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ। মোট ওয়ার্ড ২ হাজার ২৭১টি। প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও আছেন পুলিশ আধিকারিক। সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


পুরভোটে ১৪ জন ডিআইজি, ৩ জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার অফিসার আছেন ২০টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে। মোতায়েন ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী। এর সঙ্গে আছেন ১০ জন আইএএস, যাঁদের সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার করা হয়েছে। অবজার্ভার, স্পেশাল অবজার্ভার, সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার মিলিয়ে মোট ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন। পুরভোটের ফল ঘোষণা ২ মার্চ।