সমীরণ পাল, কামারহাটি : ভোটের একদিন আগে বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় ও কামারহাটিতে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অদ্রি রায়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়।  যাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বাম---দু’দলের দুই প্রার্থীর মধ্যে তরজা তুঙ্গে  ওঠে। রবিবার ভোটগ্রহণের আগে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কামারহাটির পরিস্থিতি । 


পুরভোটের আগের রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ড। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। তার জেরে বাঁশ নিয়ে একে অন্যের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। র‍্যাফ ও পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। 


 অন্যদিকে আবার, কামারহাটি ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নীলগঞ্জ রোডে দাপিয়ে বেড়াল বাইক বাহিনী। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ভোট প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ বিরোধীদের। এই উত্তাপের মধ্যেই শুরু হয় রবিবাসরীয় ভোটগ্রহণ । 

আজ রাজ্যের ২০টি জেলার ১০৮টি পুরসভায় ভোট হচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ। মোট ওয়ার্ড ২ হাজার ২৭১টি। প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন পুলিশ আধিকারিক। সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোটে ১৪ জন ডিআইজি, ৩ জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার অফিসার আছেন ২০টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে। মোতায়েন থাকবে ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী। এর সঙ্গে থাকবেন ১০ জন আইএএস, যাঁদের সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার করা হয়েছে। অবজার্ভার, স্পেশাল অবজার্ভার, সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার মিলিয়ে মোট ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক আছেন। পুরভোটের ফল ঘোষণা ২ মার্চ।



দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবার নজর উত্তর ২৪ পরগনায়। বারাসাত, ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া খড়দা, কামারহাটি, বনগাঁ-সহ মোট ২৫টি পুরসভায় ভোট। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,মোট ৬৪৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬২৯ টিতে ভোটগ্রহণ রবিবার। নির্ধারিত হবে ২ হাজার ৩০৪ প্রার্থীর ভাগ।
মোট ৪ হাজার ৩১টি বুথে ভোটগ্রহণ, নিরাপত্তায় ব্যারাকপুর কমিশনারেট মোতায়েন ১২ হাজার পুলিশকর্মী। রয়েছে ১৫টি করে QRT ও HRFS। বারাসাত পুলিশ জেলায় রয়েছে ৩ হাজার পুলিশ কর্মী। আর বনগাঁ পুলিশ জেলায় ৬০০ পুলিশ ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে।