সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms Recovery) হল বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া বাজার থেকে। সঙ্গে গ্রেফতার এক যুবক (Youth Arrested)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মোমিন মণ্ডল। কেন সে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মাটিয়া বাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল, জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


কী ঘটেছে?
গত কাল অর্থাৎ শনিবার গভীর রাতে পুলিশ মাটিয়া বাজার এলাকা থেকে মোমিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। ধৃত যুবকের বাড়ি বসিরহাট থানার গোঠরা এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। ঠিক কী উদ্দেশ্যে মাটিয়ে বাজার এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র  নিয়ে ঘোরাফেরা মোমিন? সঙ্গে আর কেউ ছিল কি? কোথা থেকে গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র পেল সে? কে দিয়েছিল? জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আজই তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার নতুন কোনও ঘটনা নয়। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ধরনের ঘটনার কথা কম-বেশি প্রায়ই উঠে আসে। গত মাসে আবার পূর্ব মেদিনীপুরের পূর্বস্থলীতে এক বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-বোমা উদ্ধার হয়। ঘটনার সূত্রপাত ভাইয়ে-ভাইয়ে সম্পত্তি সংক্রান্ত অশান্তি ঘিরে। সেই তদন্তে গিয়ে পূর্বস্থলীতে বিজেপি নেতার বাড়ি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬টি সকেট বোমা উদ্ধার করেছিল নাদনঘাট থানার পুলিশ। বিজেপি নেতার বাড়িতে গেলে তাঁর ভাইরাই অস্ত্র ও বোমা মজুতের কথা জানান বলে পুলিশের দাবি। পারিবারিক বিবাদের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতার ছেলে ও দুই ভাইকে। বোমা, অস্ত্র মজুতের ঘটনায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। আবার মাসখানেক আগে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল মালদায়। সে বার রতুয়ার (Ratua) নুরপুর ব্রিজ এলাকায় হানা দিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মালদারই ভুতনির বাসিন্দা রূপকুমার মাহাতো নামে এক ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে একটি পাইপগান, একটি সেভেন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দু'রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছিল। কী উদ্দেশ্যে এই আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি আনা হয়েছিল, কোথায় তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার তদন্ত শুরু করেন রতুয়া থানার আধিকারিকরা। মে মাসের শেষ দিকে বেআইনি অস্ত্র কেনাবেচার খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশনে হানা দেয় বেঙ্গল এসটিএফ। ৩ জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩টি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ১৪ রাউন্ড গুলি ও ৬টি ফাঁকা ম্যাগাজিন। এসটিএফ সূত্রে খবর, মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিল এক অস্ত্র কারবারি। মুর্শিদাবাদ থেকে ২ জন সেই অস্ত্র কিনতে এসেছিল। 
এইভাবে নানা সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর মিলেছে একাধিক জেলা থেকে। 


আরও পড়ুন:এক বছরে দিয়েছে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন, রইল ১০টি স্মল ক্যাপ ফান্ড