সমীরণ পাল, বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগনা : পৃথিবীর আলো দেখেছে সে ২ বছরও হয়নি। এ সময় সাধারণত আধো আধো বুলি ফোটে শিশুদের। শেখান হয় নিজের নাম, বার নাম , মায়ের নাম। সেটুকু মনে রাখতে পারলেই সবার মুখের হাসি চওড়া হয়। এক পা দু পা করে স্কুলের দিকে হেঁটে যাওয়ার বয়সও এটা নয়। অথচ এ মেয়ে ঝরঝর করে বলে দিতে পারে ভারতের  ১৭ টি রাজ্যের রাজধানীর নাম। এ কী সম্ভব? হ্যাঁ এমনটাই সম্ভব করে দেখিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ( North 24 Pargana ) জেলার বসিরহাটের ( Basirhat ) দিশা। সে যেন এক বিস্ময়-বালিকা। 


দিশার কীর্তি 


বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্য কুড়িয়া গ্রামে শিক্ষকতা করেন জয়দেব সরকার। তাঁর স্ত্রী পায়েল সরকার। ১ বছর ১০ মাস বয়স হয়েছে তাঁদের মেয়ে দিশা সরকারের। এই বয়সে নিজের নাম, পরিবারের নাম-ধাম তো বটেই, সে গড়গড় করে বলে দিতে পারে এ দেশের ১৭ টি রাজ্যের রাজধানীর নাম ! তাও ভেবে - ভেবে নয়, এক নিশ্বাসে। মাত্র ৫০ সেকেন্ডে। তাঁর এই ক্ষমতাকে স্বীকৃতি গিয়েছে  ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস। দিশার এই অবাক কীর্তির জন্য নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। ছোট্ট মেয়ের এই ক্ষমতায় গর্বিত গোটা গ্রাম। 


 





                                           


কী কী বলতে পারে সে

একদিকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানীর নাম সে বলে দিতে পারে, আবার মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ফল ও বিভিন্ন পাখির নামও সে বলে দিতে পারে। এ বছর ১০ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে দিশার অভিভাবকরা। তারপর মোবাইলে ভিডিও কল মারফৎ পরীক্ষা দেয় সে।


দিশার প্রতিভা দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস স্বীকৃতি দিল দিশাকে। আগামী ছোট্ট শিশুকন্যার বিরল কীর্তির সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ।  ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে দিশাকে ৫ই অক্টোবর সার্টিফিকেট ও মেডেল পাঠানো হয়।              


আরও পড়ুন :               


 মেঘমুক্ত ঝকঝকে আকাশ, চুটিয়ে হোক ঠাকুর দেখা, সুখবর দিল আবহাওয়া দফতর