সমীরণ পাল, বনগাঁ: ভারত বাংলাদেশ বাণিজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বনগাঁর পেট্রাপোল (petrapole) সীমান্ত। দুই দেশের আমদানি রফতানি জন্য উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে ভরসা করেন বহু ব্যবসায়ী। শনিবার ধাক্কা খেল গোটা প্রক্রিয়া। কেন?
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (bangladesh) ক্লিয়ারিং এবং ফরোয়ার্ডিং এজেন্টরা ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় বন্ধ ছিল এদিনের ব্যবসা। আমদানি রফতানির ব্যবসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্লিয়ারিং এজেন্টরা। এক দেশ থেকে অন্য দেশে মালপত্র গেলে, সেগুলি ছাড়িয়ে সেদেশের ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেওয়ার কাজ করে থাকেন ক্লিয়ারিং এজেন্টরা। ভারতের ব্যবসায়ীদের দাবি, বাংলাদেশে কোনও সমস্যার কারণে সেখানকার এক ব্যবসায়ীকে মাদক মামলা দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এদিনের ধর্মঘট ডেকেছে সেখানকার ক্লিয়ারিং এজেন্ট ও কর্মীদের সংগঠন। কোনও গাড়ির কাজ করা হবে না বলে জানানো হয়। মাদক মামলা না তোলা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। একদিকে কাজ বন্ধ থাকায় মুখ থুবড়ে পড়ে গোটা আমদানি রফতানি (import export) প্রক্রিয়া। গোটা বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা।
ভারতের ক্লিয়ারিং এজেন্ট সংগঠনের সেক্রেটারি কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, 'কোভিডের পর থেকেই লক্ষ্য করছি, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশকিছু বেআইনি দ্রব্য আমদানি-রফতানি করছে। সেই কারণেই কখনও ভারত আবার কখনও বাংলাদেশের দিকে মালপত্র বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। কিছু বেআইনি দ্রব্যের জন্য আইনি মালপত্রও আটকানো হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশকিছু গাড়িও।' তাঁর আরও অভিযোগ, রফতানি-আমদানির লরিগুলি রাখার ঠিকঠাক জায়গা নেই। ফলে বনগাঁর বিভিন্ন প্রান্তে এই লরিগুলি পার্কিং (parking) করা হয়। সেই সুযোগে একটি চক্র বৈধ মালপত্রের ফাঁকে বেআইনি দ্রব্য এপার-ওপার করানোর চেষ্টা করে। এই বিষয়টির জন্য যাঁরা আইন মেনে ব্যবসা করছেন তাঁদেরও সমস্যা হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
প্রতিদিন বহু লরি পারাপার করে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে। একদিন ব্য়বসা বন্ধ থাকলেই কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। দীর্ঘদিন এই পরিস্থিতি চললে বহু টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আমদানি-রফতানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ডাক্তারদের ভোটে ধুন্ধুমার, ভুয়ো ভোটার-ছাপ্পার অভিযোগে তুলকালাম শহরে