সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র এয়ারপোর্ট থানা গঙ্গানগর (Ganganagar) এলাকা। মৃতের নাম সুব্রত দাস। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত (Extra Marital Affairs) সম্পর্কের জেরই ওই ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে। দিনটি ছিল ২৮ ডিসেম্বর। রাতে বারাসাত থানা এলাকার বাদু বাজারের কাছে রাস্তা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল তাঁর। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়  হাসপাতালে।


পরিবারের তরফ থেকে বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি নার্সিংহোমেই এতদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ব্যক্তি। গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় দেহ এসে পৌঁছয়।


এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গঙ্গানগর কাটাখাল এলাকা। উত্তেজিত এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাড়ি ভাঙচুর করে। স্ত্রীর প্রেমিকের স্কুটারও ভাঙচুর করা হয়। এরপর তা ফেলে দেওয়া হয় নোয়াইখালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।


নদিয়াতে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন: কিছুদিন আগে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে (Extra Marital Affair Suspicion) নদিয়ার রানাঘাটে ১৩ বছরের নাবালক ছেলেকে কুপিয়ে খুন করেছিলেন বাবা। স্ত্রী এবং শ্বাশুড়িকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান অভিযুক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আক্রান্ত দুই মহিলাকে। পলাতক অভিযুক্ত। 


স্থানীয় বেগপাড়ার বাসিন্দা অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডল। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন পারিবারিক অশান্তি চলছিল। কুয়েতে রান্নার কাজ করতেন অভিযুক্ত। সম্প্রতি অভিজিৎ দেশে ফেরার পরে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। দেড় মাস আগে বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতে শুরু করেন স্ত্রী। রবিবার রাতে ১৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে দোকানে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী, শ্বাশুড়ি ও ছেলেকে কোপান অভিযুক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নাবালক ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্তর স্ত্রী মিতালি ও তাঁর মা মেনকা মণ্ডল।