সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : নেশার কী মারাত্মক টান ! রোগী বেডে বসেছিলেন অক্সিজেন মাস্ক পরে। শ্বাসকষ্টে জেরবার। তাই ভর্তি হয়েছিলেন হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। অসুস্থ একজন মহিলা এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন, কে জানত ! হাসপাতালের শয্যায় বসেই খুলে ফেললেন অক্সিজেন মাস্ক । তারপর ধরালেন বিড়ি !
এতে যে শুধু তার নিজের ক্ষতিই হল, তাই নয়, হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরাও আরেকটু হলে পড়ছিলেন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে। ওই বিড়ির আগুন থেকেই আগুন লেগে যায় হাসপাতালের শয্যায়। আর তাতে মুখটাই বীভৎসভাবে জ্বলে যায় রোগিণীর।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার সরকারি হাসপাতালে এই ঘটনা শুনে চোখ কপালে উঠেছে সকলের। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর এত নেশার প্রতি টান যে,হাসপাতালের বেডে বসেই ধরিয়ে ফেলেন বিড়ি। ওই রোগীর নাম অরুণা অধিকারী।
রবিবার বেশি রাতে হাবড়া হাসপাতালে ভয়ঙ্কর কাণ্ডটি ঘটে । আগুন দেখে ভয়ে চিৎকার শুরু করে দেন অন্য রোগীরা। আরেকটু হলে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত অন্যান্য বেডেও। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা। ততক্ষণে ওই মহিলার মুখ কার্যত ঝলসে গিয়েছে। পরদিন ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বারাসাত মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কে ওই রোগী? কীভাবে ঘটল ঘটনা?
হাসপাতাল সূত্রে খবর ,ওই রোগী হাবরা পুর এলাকার বাসিন্দা। নাম অরুণা। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে। এতটাই গুরুতর ছিল সমস্যা যে চিকিৎসকরা তাঁকে অক্সিজেন দিতে বলেন। হাসপাতালে অক্সিজেন দেওয়া চলছিল। ধূমপানের অভ্যেস ছিল তাঁর। রবিবার গভীর রাতে হাসপাতালের কর্মীরা যখন সামনা-সামনি ছিলেন না, বাকিরা ছিলেন ঘুমিয়ে, তখনই ওই মহিলা মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে বিড়ি ধরান। আর তা থেকেই ঘচে যায় দুর্ঘটনা। তাঁর মুখ তো পুড়ে যায়ই, ধরে যায় বিছানাপত্তর। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠেন ওয়ার্ডের অন্য রোগীরা। সোমবার রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে ওয়ার্ডে বিড়ি নিয়ে কীভাবে রোগী ভর্তি হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্য রোগীরা। হাসপাতালের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন :
শাহজাহানের সাম্রাজ্যে ইডি , ছুটে এল রাজ্য পুলিশ ! আজ কী করল তারা ?