সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: আগে কাজ, তারপর ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর জামদা আদিবাসী পাড়ার বেহাল রাস্তা পরিদর্শনের পর মন্তব্য় শান্তনু ঠাকুরের। এক থেকে দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা হেঁটে পরিদর্শন করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। পাল্টা শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করেছে তৃণমূল। 


কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ওবনগাঁর বিজেপি সাংসদের কথায়, আমি যদি রাস্তা স্য়াংশন করে দিই, আপনাদের দায়িত্ব থাকবে পঞ্চায়েত থেকে সেই রাস্তা বের করে নিয়ে আসা। পারবেন তো?


সাংসদ তহবিলের অর্থ বরাদ্দের পরেও, উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর আদিবাসী পাড়ার বেহাল রাস্তা পরিদর্শনের পর অর্থ বরাদ্দ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পঞ্চায়েতের থেকে কাজ বের করে আনার দায়িত্ব গ্রামবাসীদের ওপর ছাড়লেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বর্ষায় বেহাল তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁর সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামদা আদিবাসী পাড়ার এক থেকে দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা।


রাস্তায় অ্য়ামবুল্য়ান্স ঢোকে না। ফলে মুমুর্ষ রোগী বা প্রসূতিদের নিয়ে সমস্য়ায় পড়েন পরিবার পরিজনেরা। রাস্তা দিয়ে হেঁটে সকুলে যেতে পারে না ছাত্র-ছাত্রীরাও। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল এই রাস্তা। 


বনগাঁ জামদা আদিবাসী পাড়ার আশা কর্মী জয়ন্তী বসুর অভিযোগ, অনেক ডেলিভারি রোগী এখান দিয়ে নিয়ে যাই। একবার রাস্তায় ডেলিভারি হয়ে গিয়েছিল হাসাপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি হলে অ্য়াম্বুলেন্সলকে ফোন করলে তাঁরা বলে কীভাবে যাব?


আরেকজন বাসিন্দা বলছেন, এই রাস্তাটা আমাদের দরকার। এখান দিয়ে কোনও যানবাহন আসে না। অনেক টাকা দাবি করে। প্রসূতিদের অনেক সময় হেঁটে রাস্তার মোড়ে যেতে বলে।


মঙ্গলবার সেই বেহাল রাস্তা হেঁটে পরিদর্শন করেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তারপর তিনি বলেন, 'আমি প্রতিশ্রুতি বুঝি না। আগে কাজ, তারপর ভোট। প্রতিশ্রুতি দিতে আমি এখানে আসিনি। আমার দরকার কাজ। আমার কানে যখন এসেছে। এটা নয় দেখানোর জন্য়। আমি বুঝতে চেয়েছি মানুষের সমস্য়াটা কী?'


পাল্টা আক্রমণ করেবনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেছেন, 'শান্তনু ঠাকুর বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। উনি ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ ৪ বছর শোকেসে ছিলেন। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের কোনও মানুষ, সুন্দরপুরের কোনও মানুষ, বনগাঁর বিভিন্ন পঞ্চায়েতের কোনও মানুষ ওনাকে দেখেননি। বিপদে আপদে উনি থাকেননি। ২৪শে লোকসভা নির্বাচন সেই কারণে শোকেস থেকে শোপিস হয়ে বাইরে বেরিয়ে এই সমস্ত রাস্তা পরিদর্শন করছেন'। এতকিছুর পর রাস্তার হাল কি ফিরবে?