সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কালীপুজোয় (Kali Puja) বেড়াতে এসেছিলেন মামার বাড়িতে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না এক দম্পতির। গাড়ি বিয়ে সটান গিয়ে পড়লেন পুকুরে। জলে পড়ে বেঘোরে মৃত্যু হল দু'জনেরই (Road Accident)। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে (Car Accident)।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা পুকুরে দম্পতি
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 pargans News) বসিরহাটের (Basirhat News) অন্তর্গত বাদুড়িয়া থানা এলাকার ঘটনা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার নয়া বস্তিয়া মিলনী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মেদিয়া গ্রামে। আদতে বিরাটির বাসিন্দা কৌশিক দেবনাথ এবং তাঁর স্ত্রী সুনন্দা দেবনাথ। শনিবার নমেদিয়ায় মামার বাড়ির কালীপুজোয় শামিল হতে এসেছিলেন একসঙ্গে।
রাতটুকু পুজোবাড়িতে কাটিয়ে রবিবার সকালে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই বিপত্তি ঘটে। গাড়িতে চেপে ফিরছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি সমেত রাস্তার ধারের পুকুরের জলে গিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে ঘটে যায় গোটা ঘটনা। তাতে গাড়ির মধ্যেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় স্বামী-স্ত্রীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসলে হাত পাকানোর জন্য গাড়ি চালাচ্ছিলেন সুনন্দাই। সেই সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। রাস্তা থেকে সটান পুকুরে গিয়ে পড়েন গাড়ি সমেত। কিন্তু ভিতর থেকে গাড়ির দরজা বন্ধ করে রাখায়, তাঁরা ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। গাড়ির মধ্যেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দু'জনেরস, এমনই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা
স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, বিষয়টি সামনে আসতে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দম্পতিকে গাড়ি থেকে বার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা ওই দম্পতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে, গোসাবায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধুর। মৃতার নাম সাবিত্রী বিশ্বাস। বয়স ৩৮ বছর। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবার বালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়নগর কলোনি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে বিজয়নগর কলোনির বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল ঘরের মধ্যেই সাবিত্রীকে জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। চিৎকার শুরু করেন তৎক্ষণাৎ। ছুটে আসেন পড়শিরা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুনও নেভানো হয়। পুলিশকে খবর দিলে তারাই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। চিকিৎসকরা যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।