সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে হাবড়া থানায় (Habra Police Station) আত্মসমর্পণ করলেন যুবক। পেশায় মৃৎশিল্পী ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে মৃতার শ্বশুর-শাশুড়িকে। পরিবারের দাবি, বাড়তি পণের জন্য এবং কন্যাসন্তান হওয়ায় অত্যাচার করা হত মৃতার ওপর। ঠিক কী কারণে খুন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Police)। 


মঙ্গলবার ছিল আট বছরের সৌমিলির জন্মদিন। ঘরোয়া অনুষ্ঠান, খাওয়াদাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে ঘুমোতে গিয়েছিল। মা-মেয়ের সেই ঘুম আর ভাঙল না। একসঙ্গে শেষ হয়ে গেল জোড়া জীবন। স্ত্রী ও মেয়েকে খুন (Wife and Daughter Killed) করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাদুড়িয়া থানার খাসপুর গ্রামে।


স্ত্রীকে সন্দেহের বশে খুন ? কন্যাসন্তান হওয়ার জের ? না কি পণের জন্য খুন ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তর বাবা ও মাকে। মৃতেরা হলেন মৌসুমী পাল (২৮) ও সৌমিলি পাল (৮)। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৮ বছর আগে খাসপুর গ্রামের সঞ্জীব পালের সঙ্গে বিয়ে হয় মৌসুমীর। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। বাড়তি পণের দাবিতে মৌসুমীকে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। কন্যাসন্তান হওয়ায় অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।


পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ভোররাতে স্ত্রী মৌসুমীকে কুপিয়ে খুন করেন যুবক। তারপর মেয়েকে শ্বাসরোধ করেন। জোড়া খুন করে হাবড়া থানায় আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জীব। হাবড়া থানা থেকে খবর পেয়ে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ দেহ দু'টি উদ্ধার করে। মৃতার বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে অত্যাচার চলত। কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করার পর থেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা দিনে দিনে বাড়তে বাড়তে অবশেষে দুজনের প্রাণ দিতে হল। আমি এর কঠিনতম শাস্তি চাই।


বাদুড়িয়া থানা (Baduria Police Station) সূত্রে খবর, জেরার মুখে ধৃত যুবক জানিয়েছেন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। সেই সন্দেহের বশেই এই খুন। ধৃত যুবক ও মৃতার পরিবারের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।         


আরও পড়ুন- কলকাতার রাস্তায় চলন্ত গাড়িতে মহিলা অ্যাপ ক্যাব চালকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেফতার


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial