সমীরণ পাল, বারাসাত: শিশুর হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিতে আজও কিন্তু কিন্তু বোধ করি আমরা। কিন্তু স্কুলে বা টিউশনে ঠিকঠাক পৌঁছল কিনা, কখন, কোথায় রয়েছে, প্রতি মুহূর্তে সন্তানের আনাগোনার খবর থাকলে স্বস্তি পাই। অভিভাবকদের উৎকণ্ঠার কথা ভেবেই এবার সরকারি বিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্লাসরুম শুরু হল। বারাসাতের একটি ওয়ার্ডের স্কুলে আপাতত এই স্মার্ট ক্লাসরুম শুরু হয়েছে, এর আওতায় সন্তান স্কুলে পৌঁছে গেলেই খবর চলে আসবে অভিভাবকের ফোনে। (Barasat Smart Classroom)


উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত পৌরসভার অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুরের ১৩ নং ওয়ার্ডের সরকারি স্কুলে আপাতত এই স্মার্ট ক্লাসরুম চালু হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সির সুমিতকুমার সাহার উদ্যোগেই এর বাস্তবায়ন ঘটেছে। সেখানে অত্য়াধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার আওতায়, শিশুরা স্কুলে পৌঁছে গেলেই অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে সেই মর্মে মেসেজ চলে আসবে। অর্থাৎ সন্তান নিরাপদে স্কুলে পৌঁছে গিয়েছেন জেনে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন অভিভাবকরা। (Smart Classroom in School)


রামকৃষ্ণপুরের ওই অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্লাসরুমটি চালু হয়ে গিয়েছে। সেখানে একটি শ্রেণিকক্ষে বসানো হয়েছে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি। সেই মতোি সাজানো হয়েছে বিদ্যালয়ের বিশেষ ওই শ্রেণিকক্ষটি। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ থেকে স্কুল ছুটি পর্যন্ত, তাদের সমস্ত তথ্য কম্পিউটারে নথিবদ্ধ হয়ে যাবে। সেই মতো অভিভাবকদের মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ওই তথ্য। ফলে সন্তানকে নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না অভিভাবকদের। 


আরও পড়ুন: Higher Secondary 2024: উচ্চ-মাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যায় ফুল মার্কস চাই ? প্রস্তুতি সহায়তায় লাস্ট মিনিট টিপস


এর পাশাপাশি, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে, কম্পিউটারের মাধ্যমে পঠন-পাঠনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই স্মার্ট ক্লাসরুমটির পথচলা শুরু হল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষও। উপস্থিত ছিলেন বারাসাত পৌরসভার প্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়-সহ পৌরসভার কাউন্সিলররাও। স্মার্ট ক্লাসরুম দেখে তাজ্জব তাঁরাও। শিক্ষা এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির এমন ব্যবহারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তাঁরা। 


স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর পর চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। স্মার্ট ক্লারুম শুরু হওয়ায় এবার নিরসন হতে চলেছে। পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই অভিভাবকদের মোবাইলে মেসেজ চলে যাবে। এ ছাড়াও, শ্রেণিকক্ষের প্রতিটি দেওয়াল শিক্ষামূলক ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। আগামী দিনে জেলার অন্য স্কুলগুলিতেও এমন স্মার্ট ক্লাসরুম দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। পৌরসভা নয় শুধু, পঞ্চায়েত এলাকায় এমন স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ চালু হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন বলে মত ১২ নং কাউন্সিলর সুমিত সাহা।।