সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ (Doctor Death)। প্রজ্ঞাদীপা হালদার নামে বছর ৩৭-এর ওই চিকিৎসকের বাড়ি বারাসাতে। তিনি ছোট জাগুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (Jagulia Block Primary Health Center) চিকিৎসক ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়ার পর এক সেনা কর্তার সঙ্গে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টের ওই ফ্ল্য়াটে লিভ-ইন করতেন প্রজ্ঞাদীপা। মৃত চিকিৎসকের পরিবার ওই সেনা কর্তার বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর থানায় (Barrackpore Police Station) আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত পলাতক।
চিকিৎসার পাশাপাশি সোশ্যাল মাধ্যমে লেখালেখিও করতেন প্রজ্ঞাদীপা হালদার। ফেসবুকে তাঁর লেখার ফলোয়ার সংখ্যা যথেষ্ট। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, সেটা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর শেষ ফেসবুক পোস্টেও। গত ১৯ জুন যেখানে তিনি লিখেছিলেন, 'কেউ নেই কিছু নেই সূর্য দুবে গেছ।' মানসিক অস্থিরতার ভোগা ওই চিকিৎসক হয়তো লিখতে গিয়েছিলেন, 'সূর্য ডুবে গিয়েছে'।
মৃত ওই চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, সোশাল মিডিয়ায় মাধ্যমে যোগাযোগের পর মাঝে ওই সেনা-কর্তার সঙ্গে লিভ-ইন করতেন ওই চিকিৎসক। এক ছাদের তলায় থাকার মাঝে প্রজ্ঞাদীপাকে মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার শিকার হতে হত বলেই অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন।
প্রজ্ঞাদীপার মা ঝর্ণা হালদারের অভিযোগ, পোর্স্টমর্টেমের সময় দেখা যায় ওর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটচা ব্রিটিশ আমলের, মাটি থেকে প্রায় ১১ ফুট উঁচু। সেখানে ফ্যানের থেকে ঝোলানো ছিল দেহ। আমাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত বিচার চাই। দেশের দায়িত্ব যাঁদের হাতে, সেই সামরিক বাহিনীর একজন এরকম জঘন্য অপরাধ করেছে। তাই তাঁর শাস্তি চাই। যাতে সমাজের সকলের কাছে প্রয়োজনীয় বার্তা যায়।
আরও পড়ুন- বাড়বে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস এই জেলাগুলিতে