সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ছাড়া কারও নাম-ছবি বসানো যাবে না বলে কড়া নির্দেশ ছিল। কিন্তু ২১ জুলাই (21 July) উপলক্ষে বসিরহাটে বসানো পেল্লাই ফটকের পোস্টারে নাম ফুটে উঠল ব্লক সভাপতির। তা নিয়ে জোর তরজা বসিরহাটে (Basirhat)। আবেগপ্রবণ হয়ে তৃণমূল কর্মীরা এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন বলে একদিকে সাফাই দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্দরে জোড়াফুলের (TMC) অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব তুলে ধরেছে বিজেপি (BJP)।


২১ জুলাইয়ের পোস্টার ঘিরে টানাপোড়েন বসিরহাটে


২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ স্মরণ দিবস ঘিরে রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাটেও। কিন্তু যতই আয়োজন হোক না কেন, পোস্টার, ফেস্টুন এবং ব্যানারে মমতা এবং অভিষেক ছাড়া কারও নাম এবং ছবি ব্যবহার করা যাবে না বলে আগে থেকেই জারি হয়েছিল নির্দেশিকা। জেলা সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান হাজি নুরুল ইসলাম কড়া নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন।


কিন্তু প্রস্তুতি সভার প্রবেশদ্বার সুসজ্জিত করে তোলার পর দেখা গেল, পেল্লাই আকারের ফটকের উপর পোস্টারে লেখা রয়েছে মিনাখাঁ ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি আয়ুব হোসেন গাজির নাম। সেই নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। আয়ুবের দাবি, তৃণমূল কর্মীরা আবেগপ্রবণ হয়ে তাঁর নাম লিখেছে ফেলেছেন। বিষয়টি চোখে পড়তেই ওই প্রবেশদ্বারের সজ্জা খুলে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। তা ইতিমধ্যে খুলেও ফেলা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Bansberia Municipality : বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় 'আমরুত' প্রকল্পের প্রায় ১৭ কোটি টাকা নয়ছয় ? থানায় অভিযোগ দায়ের


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে বিতর্ক এড়ানোর চেষ্টা করেন সরোজও। তিনি জানান, দলনেত্রী এবং অভিষেকের ছবি ও নাম ছাড়া অন্য কেউ পোস্টারে জায়গা পাবেন না বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পর আয়ুবের নাম দেখা গিয়েছে বটে। তৃণমূলকর্মীরাই আবেগপ্রবণ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন বলে মত তাঁর। ওই সব পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ বিজেপি-র


তবে বিষয়টিকে লঘু করে দেখতে নারাজ বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার। তাঁর কথায়, “তৃণমূলের নীতি-আদর্শের কোন বালাই নেই। পিসি –ভাইপোর মধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। সেখানে ব্লক স্তরে বা অঞ্চল স্তরে কে কার নাম দেবে, না দেবে, সেই নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির মাথাব্যথা নেই।” গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করে কেউ নিজের নাম দিয়েছেন, কেউ আবার মমাত-অভিষেকের নাম দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।