সমীরণ পাল, বিরাটি: বৃষ্টির জমা জল প্রাণ কেড়েছে ৫ মাসের শিশুকন্যার। ক্ষোভে ফুঁসছে বিরাটির দেবীনগর। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় DYFI ও গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। ঘরের ভিতরে বৃষ্টির জমা জলে মৃত্যু হয়েছে একরত্তির। পরিবারের দাবি, মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে ঘরের বাইরে গেছিলেন মা। কিছুক্ষণ পর ঘরে ঢুকে দেখেন জমা জলে পড়ে আছে মেয়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৫ মাসের শিশুকন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শিশুমৃত্যুর দায় কার? তা নিয়ে শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি।
টানা বৃষ্টির জমা জলই কেড়ে নিয়েছে একরত্তির প্রাণ। শনিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে। উত্তর দমদম পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে ঘরের ভিতরে বৃষ্টির জমা জলে মৃত্যু হল পাঁচ মাসের শিশু কন্যার। মৃতের পরিবারের দাবি, বৃষ্টির জমা জল ঘরে ঢুকে আসে। প্রায় এক মাস ধরে এই দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে কাটাতে হচ্ছিল। শনিবার সকালে, পাঁচ মাসের শিশুকন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে বাইরে গেছিলেন মা। কিছুক্ষণ পর, ঘরে ঢুকে দেখেন, জমা জলে নিথর হয়ে পড়ে আছে ছোট্ট শরীরটা। উত্তর দমদম পুরসভার হাসপাতাল ও পরবর্তীতে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ওই শিশুকন্যাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার আওতায় থাকা খালগুলির সংস্কারের অভাবেই এই হাল হয়েছে এলাকার। শুধু উত্তর দমদম পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডই নয়। পুরসভার ২, ৩, ১১, ১৩, ১৪, ২০, ২২, ৩৩ সহ একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন রয়েছে। আর এবার সেই জমা জলের কারণে খালি হল মায়ের কোল। জমা জলে প্রাণ গেছে একরত্তির। এর দায় কার? তা নিয়ে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা চলছেই। এই আবহে এদিন সকালে প্রতিবাদে নামে DYFI। তাঁদের অভিযোগ, খাল, ড্রেন সংস্কার করা হচ্ছে না দীর্ঘদিন। তাতেই বাড়ছে জল জমার সমস্যা। এক বিক্ষোভকারী শুভঙ্কর দাস বলেন, "খাল এবং ড্রেনগুলি সংস্কার হচ্ছে না। ফলে জল জমে থাকছে। ঘরেও ডল ঢুকে যাচ্ছে। কাউন্সিলরের দেখা পাওয়া যায় না। অন্তত সংস্কারের কাজটা হলে জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ। এই ধরনের বিপদ এড়ানোও যাবে।''গোটা ঘটনায় আবার, বাম আমলের দিকেই দায় ঠেলেছেন তৃণমূল পরিচালিত ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত দাস। গতকাল তিনি বলেন, "৪৮ বছর ধরে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সিপিএম-এর। আমি ২০২২ সালে জন প্রতিনিধি হয়েছি। প্রথমে অ আ ক খ-তে যেরকম মানুষকে পড়াশোনা শুরু করতে হয়, ৪৮ বছর বাদে আমাকে আবার নতুন করে এই ওয়ার্ডে কাজ করতে হয়েছে। এখানকার যিনি কাউন্সিলর ছিলেন, তিনি নিকাশির কোনও সিস্টেম করেননি।''