সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পুরসভা থেকে ৫২১ জন পডুয়ার খাবার রান্নার জন্য টাকা ও উপকরণ নেওয়া হলেও রান্না হচ্ছে ২২৯ জনের। উত্তর ২৪ পরগনার শক্তিগড় হাইস্কুলে মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগ তুললেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান। বাজেয়াপ্ত করা হল অ্যাাটেন্ডেন্স রেজিস্টার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। পুরসভার রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। 


চেয়ারম্যানের প্রশ্ন:
ছাত্র সংখ্যা ৫২১। রান্না হচ্ছে ২২৯ জনের। ডিম নেওয়া হয়েছে ১০৫টি। বাকি ২৯২ জন পড়ুয়ার খাবারের চাল-ডিমের কী হল? এই প্রশ্ন তুলে মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগ করলেন তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। শনিবার বনগাঁর শক্তিগড় হাইসকুল পরিদর্শনে যান তিনি। তাঁর দাবি, স্কুলে গিয়ে দেখা যায় ২২৯ জন পড়ুয়ার জন্য মাত্র ১০৫ টি ডিম ও ১৫ কেজি চাল রান্না হচ্ছে।


পুর এলাকায় আপার প্রাইমারি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের উপকরণে সরবরাহের দায়িত্ব রয়েছে বনগাঁ পুরসভা। পুরসভার দাবি, ৫২১ জন পড়ুয়ার জন্যই তা সংগ্রহ করেছে স্কুল। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ বলেন, 'মিড ডে মিলে কোন গাফিলতি হলে দায়ভার আমাদেরও বর্তায় । আমরা সেই কারণে হঠাৎ করে পরিদর্শন করে এসে গাফিলতি লক্ষ্য করায় খাতা সিল করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে সঠিক তদন্ত করবার জন্য অনুরোধ করেছি । যদি গাফিলতি হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।'


পড়ুয়াদের উপস্থিতির খাতা বাজেয়াপ্ত করেছেন পুর চেয়ারম্যান। যদিও কারচুপির কথা অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। বনগাঁ শক্তিগড় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সরকার বলেন, 'মিড ডে মিলের রান্নার সঠিক হিসাব আমাদের কাছে আছে । যতজন ছাত্রছাত্রীর জন্য রান্না করা হয় ঠিক ততজন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা উল্লেখ করে প্রতিদিন এসএমএস পাঠানো হয় । চেয়ারম্যান উপস্থিতির খাতা সিল করেছেন সঠিকভাবে তদন্ত হলে দেখা যাবে এর মধ্যে কোনরকম কারচুপি নেই।'


জেলা প্রশসন সূত্রে খবর, পুরসভার রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মিড ডে মিল নিয়ে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠেছিল। অনেকসময়েই তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নানা সময় এই অভিযোগ উঠেছে, এবার উত্তর ২৪ পরগনায় একই অভিযোগ তুললেন খোদ চেয়ারম্যান। 


আরও পড়ুন: ভাঙচুর-ইটবৃষ্টি-আগুন, রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্ত রিষড়া