সমীরণ পাল, বারাসাত: পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে বিতর্ক। ২ পড়ুয়ার ভুল ঠিকানা দিয়ে স্কুলে ভর্তির চেষ্টার অভিযোগ অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ। বারাসাত মহাত্মা গাঁধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের (Mahatma Gandhi Memorial High School) এই ভর্তি বিতর্কে লেগেছে রাজনীতির রং-ও। স্কুলে ভর্তির নথিতে ঠিকানায় গরমিলের অভিযোগ।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে স্কুলের তরফে অভিযোগ জানিয়ে পাঠানো হল চিঠি। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত মহাত্মা গাঁধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ভর্তির ক্ষেতে স্থানীয় পড়ুয়ারা অগ্রাধিকার পায়। এক্ষেত্রে অভিযোগ, দুই পড়ুয়া দত্তপুকুরের বাসিন্দা হলেও অভিভাবকরা স্থানীয় ঠিকানা দেখিয়ে ভর্তির চেষ্টা করেছেন।
হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, প্রাথমিক বিভাগ থেকে আসা ২ জন পড়ুয়ার ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ও ভর্তির ফর্মে ঠিকানা আলাদা। বিষয়টি সামনে আসার পর চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে জেলার স্কুল পরিদর্শককে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলি এহসানের কথায়, “দুজন পড়ুয়ার অভিভাবকরা যে নথি জমা দিয়েছেন, তাতে ঠিকানায় গরমিল রয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শককে চিঠি দিয়েছি।’’ স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা দীপিকাবালা বিশ্বাসের দাবি, ভর্তির সময় যে নথি অভিভাবকরা দেন, তা সবসময় পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। প্রাথমিক বিভাগে ভর্তির সময় পড়ুয়াদের অভিভাবকরা অনেক সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্টিফিকেট জমা দেন। সেই কারণেই ঠিকানায় গরমিলের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।
বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, “তৃণমূলের আমলে শিক্ষা ব্যবস্তায় কারচুপি। ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নেই। বারাসাত পুরসভার তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর ৯ নং ওয়ার্ডের দীপক দাশগুপ্ত বলেন, “আমি এ সব বিষয়ে নেই। স্কুল বলতে পারবে। আমি জানি না।’’ স্কুল সূত্রে খবর, তদন্তে দেখা গেছে, ২ পড়ুয়া দত্তপুকুর থানা এলাকায় থাকে। স্থানীয় যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দুই পড়ুয়ার অভিভাবকরা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
আরও পড়ুন: West Bengal School Reopen: অবিলম্বে চালু হোক প্রাথমিকের ক্লাস, চুঁচুড়ায় বিক্ষোভ অভিভাবকদের