সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফেসবুক এবং ইউটিউবের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে পাখি ব্যবসার (Illegal Bird Trading) অভিযোগ। হাতেনাতে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হল। তাঁদের কাছ থেকে ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Bird Traders Arrested)। দীর্ঘ দিন ধরেই ধৃতদের উপর নজর ছিল বন দফতরের। গ্রাহক সেজেই ওই দু'জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা গিয়েছে বলে বন দফতর (Forest Department) সূত্রে জানা গিয়েছে। 


ধৃতদের কাছ থেকে ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে


অভিযুক্ত দুই যুবকের নাম শেখ রফিকুল রহমান এবং আবদুল্লা মল্লিক। তাঁরা দু'জনই হুগলি (Hooghly News) জেলার হরিপাল (Haripal News) থানা এলাকার বাসিন্দা। বাড়িতে আলেকজ্য়ান্ডার টিয়া-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি লালন-পালন করা ছাড়াও, নানা প্রজাতির পাখির প্রজননও ঘটায়। ফেসবুক এবং ইউটিউব মারফত সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। 


জানা গিয়েছে, পাখি বিক্রির জন্যই বিশেষ করে ইউটিউব চ্যানেলটি চালান রফিকুল এবং আবদুল্লা। সেখানে নিজেদের ফোন নম্বরও তুলে ধরেন তাঁরা, যাতে পছন্দের পাখি কিনতে সরাসরি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন গ্রাহক। এ ভাবেই চলছিল এতদিন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বন দফতরের নজর কাড়েন জনৈক ব্যক্তি। সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমেই জমা পড়ে অভিযোগ বন দফতরের বারাসত রেঞ্জ অফিসে। 


আরও পড়ুন: Kolkata ISIS : 'মোক্ষম সময়ে বড় ছক বানচাল', আরও এক ISIS জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের STF


অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বন দফতর। ক্রেতা সেজে ওই দুই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বন দফতরের কর্মীরা। দক্ষিণেশ্বর এলাকায় পাখি নিয়ে আসতে বলা হয় ওই দুই যুবককে। সেই মতো সোমবার সেখানে পাখি নিয়ে হাজির হন ওই দুই যুবক। তাতেই হাতেনাতে তাঁদের গ্রেফতার করে বন দফতর। গ্রেফতারির পর বারাসত রথতলা রেঞ্জ অফিসেই নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতদের। 


ক্রেতা সেজে ওই দুই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বন দফতরের কর্মীরা


বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে নয়টি আলেকজ্যান্ডার টিয়া পাখির ছানা, চারটি বড় টিয়া এবং জাভা পাখিও উদ্ধার করা হয়েছে।  সব মিলিয়ে ধৃতদের কাছ থেকে ছানা এবং বড় পাখি মিলিয়ে মোট ৩০টি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। তাদের ধারণা, এর সঙ্গে আরও বড় কোনও চক্র যুক্ত থাকতে পারে। হরিপালে ধৃতদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাতে তৎপর হয়েছেন বন দফতররে কর্মীরা।