সমীরণ পাল, বাগদা: সমবায় সমিতির (Cooperative Society) সম্পাদক নির্বাচন ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাগদায় (Bagda) তৃণমূলের (TMC) দুই নেতার শিবিরে টানাপোড়েন! পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতির প্রার্থীর কাছে হারলেন দলেরই দুই ব্লক সভাপতির প্রার্থী! আর এ ঘটনা ঘিরেই বাগদার হেলেঞ্চায় ছিল টানটান উত্তেজনা! ১২ সদস্যের আষাঢ়ু লার্জ সাইজড কো -অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক ছিলেন তৃণমূলের হেলেঞ্চা আঞ্চলিক সভাপতি অনিমেষ বাইন। এর মধ্যে একজন সদস্যের মৃত্যু হয়। তারপর ২ মাস আগে অনিমেষ বাইনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ১১ সদস্যের বোর্ড তাকে সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেয়। সোমবার ছিল সমবায় সমিতির নতুন সম্পাদক নির্বাচনের বৈঠক। সেখানে সম্পাদক পদে গৌতম রায় নামে একজনের নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূলের বাগদা পূর্ব ব্লক সভাপতি পরিতোষ কুমার সাহা এবং বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার। অন্যদিকে, তৃণমূল পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় ও সহ সভাপতি তরুণ ঘোষ প্রাক্তন সম্পাদক অনিমেষ বাইনের নামই ফের প্রস্তাব করেন। অনিমেষ বাইনকে সমর্থন জানান বাগদার বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্‍ দাসও। শেষে ১১ সদস্যের ভোটাভুটিতে ৬-৫ ব্যবধানে জয়ী হন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির প্রার্থী অনিমেষ বাইন। 


বাগদায় তৃণমূলের টানাপোড়েন


জয়ী প্রার্থীর বক্তব্য, ‘আমি ৬-৫ ব্যবধানে জিতেছি। আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিল গৌতম রায়, ব্লক সভাপতির প্রার্থী। কী অভিসন্ধি জানি না। তবে উনি মার্কেটিং সম্পাদক। ওঁর বিরুদ্ধেও ভাল রিপোর্ট দিচ্ছে না!’


পাল্টা পরাজিত প্রার্থী বলেছেন, ‘আমাকে দাঁড় করানো হয়েছিল। কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। আর কারও অনুগামী নই।’


সমবায় সমিতির সম্পাদক নির্বাচন ঘিরে শাসক শিবিরের অন্দরে ‘টানাপোড়েন’। বাগদার বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্‍ দাস বলেছেন, ‘একটা অসাধু চক্র সমবায় সমিতি দখল করতে চেয়েছিল। রুখে দেওয়া হয়েছে।’


আরও পড়ুন ডাকাতির অভিযোগে ধৃতকে ছাড়াতে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে


পাল্টা বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বলেছেন, ‘দুই সভাপতি যদি মনে করেন দলের মালিক, তাহলে মারাত্মক। ওরা ব্লক সভাপতির প্রার্থী ছিল।’


বাগদা পশ্চিমের তৃণমূল ব্লক সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদারের অবশ্য দাবি, ‘কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তৃণমূলের ছিল, তৃণমূলেরই আছে।’


কোনও দ্বন্দ্বই যদি না থাকত, তাহলে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন প্রার্থী দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।