সমীরণ পাল, সৌমেন চক্রবর্তী, বাগদা: পুলিশের হাত থেকে অভিযুক্তকে ছাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে, গ্রামের এক পরিবারের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূলের বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী গোপা রায়। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর
‘পুলিশের হাত থেকে অভিযুক্তকে ছাড়াতে হলে দিতে হবে দেড় লাখ টাকা। টাকা না দিলে ধৃতকে গাঁজা কেসে ফাঁসানো হবে। টাকা দিলে কোনও কেস না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে ধৃত এক ব্যক্তিকে ছাড়ানোর জন্য, এভাবেই হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল পরিচালিত বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী গোপা রায়ের বিরুদ্ধে।
বাগদার হরিহরপুরের বাসিন্দা আজমিরা মণ্ডল। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠকে চিঠি দিয়ে তিনি যে অভিযোগ করেছেন, তাতে লেখা হয়েছে, গত ১৭ এপ্রিল রাতে তাঁর স্বামী আতিয়ার মণ্ডলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর নামে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী গোপা রায়।
আরও ৫০ হাজার টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে দেওয়া এই অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং ব্লক তৃণমূল সভাপতি পরিতোষ সাহার কাছেও পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি, নাসির বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে গোপা রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা।
ওই ব্যক্তির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের স্ক্রিনশটও প্রকাশ্যে এনেছে পরিবার, যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নাসিরের নামে কোথাও লেখা রয়েছে, টাকা না দিলে ছাড়বে না। দু-নম্বরি কাজ করলে ডাকে টাকা দিতে হয়। দিদির সঙ্গে কথা হল। কাল বড়বাবুকে কিছু মাল্লু দিতে হবে। তারপর ছাড়বে। অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।