সমীরণ পাল, খড়দহ: দীর্ঘ সাত মাস ধরে বেতন মিলছে না বলে অভিযোগ। তা নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি (Khardaha News)। নিজেদের দাবি-দাওয়াকে সামনে রেখে খড়দহ ফেরিঘাটই (Ferry Ghat) বন্ধ করে দিলেন সেখানকার কর্মীরা। তাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি এতটাই তেতে ওঠে যে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে বয় পুলিশকে। তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে ফেরিঘাট স্তব্ধ হয়ে রয়েছে।


নিজেদের দাবি-দাওয়াকে সামনে রেখে খড়দহ ফেরিঘাটস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিলেন কর্মীরা


খড়দহ ফেরিঘাটটি খড়দহ পৌরসভা অন্তর্গত যদিও। তবে সেটির যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করে রিষড়া পৌরসভা। ফেরিঘাটের কর্মীদের অভিযোগ, রিষড়া পৌরসভাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযোগ জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরেও। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। দীর্ঘ সাত মাস কেটে গেলেও বেতন পাননি তাঁরা (North 24 Parganas)। 


মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ফেরিঘাট বন্ধ করে দেন কর্মীরা। হাঁড়ি, কড়াই, নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাতে সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় ফেরিঘাট চত্বরে। এ দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিশ। এই মুহূর্তে ফেরিঘাটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে যদিও। কিন্তু ফেরিঘাট বন্ধই রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরাষ ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। 


আরও পড়ুন: Bomb Blast: ব্যাগে করে বোমা নিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ, জখম এক দুষ্কৃতী


বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজ


এ দিকে, বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour News) ফকিরচাঁদ কলেজ (Fakir Chand College)। ছাত্র সংসদে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কলেজের অধ্যক্ষের আচরণ নিয়েও অসন্তোষ। তার জেরেই তেতে উঠেছে ফকিরচাঁদ কলেজ। বিগত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে সেখানে। অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে বিক্ষোভের ঝাঁঝ বরং বেড়েছে। 


তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সদস্যরা কলেজের মধ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ। তার জেরে গত কয়েক দিনে কলেজে উপস্থিত হননি অধ্যক্ষ সৌমেন চন্দ। মঙ্গলবার ফের কলেজে আসেন তিনি। তাতে পরিস্থিতি আরও তেতে ওঠে। 


এ দিন সৌমেনবাবু কলেজে আসার পর প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভের ঝাঁঝ বেড়ে চলে। ছাত্র সংসদে বহিরাগতরা হস্তক্ষেপ করছেন এবং তাতে অধ্যক্ষের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পড়ুয়াদের একাংশ। যদিও বহিরাগত হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ সৌমেনবাবু। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার ইঙ্গিত নেই এখনও পর্যন্ত।