সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পাচারকারীর দেহ থেকে পেস্ট আকারে আনা ১ কেজিরও বেশি সোনা উদ্ধার করল BSF।ধৃতের থেকে ৬৪ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ১ কেজিরও বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করার জন্য, অভিযুক্ত নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিতেও দুবার ভাবেনি। এই সোনার বলগুলি, অভিযুক্ত তাঁর শরীরের মলদ্বারে লুকিয়ে রেখেছিল !
তথ্য সূত্রে খবর, আইসিপি পেট্রাপোলে আগত যাত্রীদের রুটিন তল্লাশির সময়, সতর্ক বিএসএফ কর্মীরা, একজন যাত্রীকে তল্লাশি করার সময়, যাত্রীর শরীরের নীচের অংশে কিছু ধাতব পদার্থের উপস্থিতির মেটাল ডিটেক্টর থেকে ইঙ্গিত পান। অবিলম্বে, কর্তব্যরত কর্মীরা পুঙ্খানুপুঙ্খ চেকআপের জন্য তাকে টয়লেটে নিয়ে যান। তল্লাশির সময়, তার কাছ থেকে নলাকার আকৃতির দুটি সোনার পেস্ট উদ্ধার করা হয়, যা যাত্রী তার মলদ্বারে লুকিয়ে রেখেছিল। সৈন্যরা যাত্রীকে ধরে সোনার টুকরোগুলো বাজেয়াপ্ত করে। ধৃত পাচারকারীর নাম ফয়জল আলি খান মহম্মদ ফলিল। বয়স-৫৯ বছর। অভিযুক্ত তামিলনাড়ুর নাম্বুথালাইয়ের বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই চোরাকারবারী জানায়, সে মুম্বাই থেকে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে টেক্সটাইল রপ্তানিকারক হিসেবে কাজ করে। সে আরও বলেছে, ১৩ নভেম্বর, তিনি মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা হয়ে ভারতে ফেরার সময়, বেনাপোল বাসস্ট্যান্ডে সিদ্দিকী নামে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকের সাথে দেখা করেন। যিনি তাকে সোনার চালানটি পরিবহনের জন্য ১০,০০০ টাকা দিতে বলেছিলেন। এবং তাঁকে চালানটি চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর তিনি বেনাপোল ল্যান্ডপোর্টের পাবলিক টয়লেটে নিজের মলদ্বারে সোনার চালান লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আইসিপি পেট্রাপোলের তল্লাশি পয়েন্টে পৌঁছালে লুকোনো সোনার চালান-সহ বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। আটক চোরাকারবারি ও উদ্ধার হওয়া সোনা পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য পেট্রাপোলের কাস্টমস বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, জেলে মোবাইল ফোনের জন্য বারবার বায়না জ্য়োতিপ্রিয়র
শ্রী এ.কে. আর্য, ডিআইজি, জনসংযোগ আধিকারিক, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, বিএসএফ সৈন্যদের এই কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প পরিমাণ অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কুখ্যাত চোরাচালান চক্র সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত নয়, তাই তারা গরিব মানুষকে টার্গেট করে। তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেছেন যে, তাঁরা যদি সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনও তথ্য পান, তবে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ এই তথ্য দিতে পারেন। এছাড়াও সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার আরও একটি ৯৯০৩৪৭২২২৭ নম্বর জারি করেছে। যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের পরিমাণ দেওয়া হবে এবং তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে।