উত্তর ২৪ পরগনা: বাগুইআটিতে সকালের নিস্তবদ্ধতা ভাঙল গুলির শব্দে। বাগুইআটির নারায়ণপুরে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর ( Murder case)। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম টুম্পা ঘোষ। নারায়ণপুরের চন্দ্রাণী এলাকার বাসিন্দা বছর ৩২-এর টুম্পার সঙ্গে তাঁর স্বামী অজয়ের সাংসারিক বিষয় নিয়ে অশান্তি চলছিল। প্রতিবেশীরা আজ সকালে গুলির আওয়াজ পান। গৃহবধূকে বাড়ির মধ্যেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মহিলার শরীরে দুটি গুলি লাগে। দাম্পত্য বিবাদ ছাড়া এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে নারায়ণপুর থানার পুলিশ (Police)। মার্চ মাসেও এমনই একটি ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল নদিয়া জেলা। স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে সেবার আত্মঘাতী হয়েছিলেন স্বামী। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্ত্রীর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার কুটির পাড়া এলাকায়।
সেসময় স্থানীয় সূত্রে খবর এসেছিল, ১২ বছর আগে এলাকারই যুবক জয়ন্ত সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় দিপালী সর্দারের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। আর সেই কারণে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন। মাঝেমধ্যে এসে জয়ন্ত তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন। শুক্রবারও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মারধর করেন জয়ন্ত। এদিন ধানের জমির মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মাজদিয়া স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে স্বামী জয়ন্তর মৃতদেহ উদ্ধার করে রেল লাইনের ওপর থেকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রীকে খুন করার পর স্বামী রেলের লাইনে গলা দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, যাদবপুর পড়ুয়ার হেনস্থার ভিডিও পেতে ফরেন্সিকের সাহায্য কলকাতা পুলিশের
এমনই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল শিলিগুড়িও। স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেছিল স্বামী।শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কোকরাজোত গ্রাম এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা যায় যে বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। ফাঁসিদেওয়া এলাকার একটি মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া সেরে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঠিক সেই সময়ই একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি উঠে বাইরে আসেন ঘটনায় অভিযুক্ত রঞ্জিত সোরেনের বোন লক্ষ্মী সোরেন। তিনি বাইরে এসে দেখেন যে তাঁর বৌদি মাটিয়ে পড়ে লুটিয়ে আছেন। দেহ পুরো রক্তাক্ত। লক্ষ্মী দেখতে পান তাঁর দাদার হাতে ধারাল অস্ত্র। মুহূর্তের মধ্যেই সেখান থেকে পালিয়ে যান রঞ্জিত। যদিও পরে তিনি গিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রঞ্জিতের স্ত্রীর।