সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ক্রেডিট কার্ডের সমস্যা সমাধানের নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা চক্রের (Fraud Case) আরও ২ প্রতারককে গ্রেফতার করল বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Bangaon Cyber Crime Police Station)।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা মিলি মন্ডল গত জুন মাসের ১ তারিখে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান তার ক্রেডিট কার্ডের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ফোন এসেছিল তার ফোনে। সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাঙ্কের নথি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতেই ওটিপি নাম্বার চাওয়া হয়েছিল, তিনি সেই ওটিপি নাম্বার দিতেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। তারপরে তিনি বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
এই ঘটনার তদন্ত নেমে পুরুলিয়া এবং ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকা থেকে উজ্জ্বল সিংহ নামে এই প্রতারনা চক্রের অন্যতম পান্ডাকে গ্রেফতার করেছিল বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। উজ্জ্বল সিংহকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ । ধৃতদের নাম সন্তোষ প্রামাণিক এবং প্রহ্লাদ নাপিত।
এদিকে, বনগাঁর ঘটনার পাশাপাশি, আরও একটি ঘটনা ঘটেছে কলকাতাতেও।আধার এনাবলড পেমেন্ট সিস্টেম বা AEPS-এর মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ পঞ্চসায়রের বাসিন্দার। কোনও OTP বা CVV নম্বর ছাড়াই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। ব্যাঙ্ক, পঞ্চসায়র থানা এবং লালবাজারের সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি।এবার, প্রতারণার নতুন ফাঁদ। অজানা কোনও লিঙ্কে ক্লিক নয়,কাউকে OTP বা CVV ও শেয়ার না করে, এমনকী কোনও অ্যাপ ডাউনলোড না করেও প্রতারণার ফাঁদে পড়ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন, 'কলকাতায় চোর, মুম্বইতে সাধু..', ধূপগুড়িতে ধরাশায়ীর পর কাকে নিশানা কৌস্তভের ?
মূলত সাইবার প্রতারকদের নতুন হাতিয়ার আধার এনাবলড পেমেন্ট সিসেস্ট বা AEPS।নতুন সিম কার্ড নেওয়া বা জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রি করার সময় আমাদের বায়োমেট্রিক প্রমাণ বা আঙুলের ছাপ দিতে হয়। আর, আধার কার্ড তৈরির সময়ও নেওয়া হয় ৫ আঙুলের ছাপ। এই বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করেই করা হচ্ছে প্রতারণা। যেমন হয়েছে,পঞ্চসায়রের বাসিন্দা পবিত্র সরকারের। পেশায় গৃহশিক্ষক সম্প্রতি দেখেন, আধারের সাইট থেকে তাঁর কাছে একাধিক মেল আসছে। এরপরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা।