কলকাতা: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে (Dhupguri By Election)তৃণমূলের জয়, ধরাশায়ী সিপিএম-কংগ্রেস জোট। এই প্রেক্ষাপটে সোশাল সাইটে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Koustav Bagchi) । তিনি লিখেছেন, যাই হোক সমুদ্র জিতেছে। পুকুর হারলে ক্ষতি কি! 'I.N.D.I.A' জোটে মমতা-সনিয়া-রাহুল-ইয়েচুরিদের একসঙ্গে থাকার ফলে কি প্রদেশ কংগ্রেস ও বঙ্গ সিপিএমের ক্ষতি হচ্ছে? সেই ইঙ্গিতই কী করছেন কৌস্তভ? উঠছে প্রশ্ন। 


কলকাতায় চোর, মুম্বইতে সাধু।
ফলাফল = ধূপগুড়ি


যাই হোক সমুদ্র জিতেছে।
পুকুর হারলে ক্ষতি কি!


মূলত ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে, তৃণমূলের জয় এবং সিপিএম-কংগ্রেস জোটের মুখ থুবড়ে পড়ার পর নাম না করে, সোশ্য়াল সাইটে এই কটাক্ষই করেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতা, কৌস্তভ বাগচী। যিনি শুরু থেকেই পাটনা, ব্য়াঙ্গালোর কিংবা মুম্বই-সহ ইন্ডিয়া জোটের যে কোনও মঞ্চেই, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের একসঙ্গে থাকার বিরোধিতা করছেন।উল্টোদিকে অধীর চৌধুরীরা বাংলায় তৃণমূল কট্টর বিরোধিতায় অনড় থাকলেও, জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে তৃণমূল নিয়ে হাইকম্য়ান্ডের অবস্থানের প্রকাশ্য়ে সমালোচনা করতে নারাজ।


এই প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী বলেন,পুকুর এবং নদীর মধ্যে ফারাক আছে। আমার কাছে বাংলা হল পুকুর। আর ভারত হল নদী। আমি যেটা বলতে চাই, সেটাই বলি। পিছন থেকে কথা বলি না। আর ধূপগুড়িতে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর, নাম না করে অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্য়কেই হাতিয়ার করেছেন কৌস্তভ বাগচি। সোশাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করে পোস্ট করেছেন তিনি। 


 কৌস্তভ বাগচী বলেছেন,   কলকাতায় একরকম স্ট্য়ান্ড, দিল্লিতে একরকম স্ট্য়ান্ড, বম্বেতে একরকম স্ট্য়ান্ড, এটা তো চলতে পারে না। চোর সব জায়গাতেই চোর হয়। মানুষের কাছে বিভ্রান্তির জায়গা হয়ে যাচ্ছে। যার রেজাল্ট ধূপগুড়ি। সংগঠন নেই। এই ধরণের ছেঁদো যুক্তি  দিয়ে লাভ নেই। সংগঠন নেই তো লড়তে গেছি কেন? তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও এ নিয়ে মুখ খুলেছেন কৌস্তভ।


ধূপগুড়ির গ্রামীণ এলাকাগুলিতে দু’মাস আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের ভোট ছিল প্রায় ১২ শতাংশ। দু’মাসের মধ্য়ে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থীর ভোট কমে হয়েছে মাত্র ৬.৫২ শতাংশ। ধূপগুড়ির ফলাফলের পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে। 'INDIA' জোটের মঞ্চে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গী সনিয়া-রাহুল-ইয়েচুরিদের একসঙ্গে থাকার ফলে কি প্রদেশ কংগ্রেস ও বঙ্গ সিপিএমের ক্ষতি হচ্ছে? আদতে লাভবান হচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি? বারবার সেদিকেই  কি ইঙ্গিত করছেন কৌস্তভ বাগচী? 


আরও পড়ুন, রাজ্যপালের হুঁশিয়ারির মধ্যেই রাজভবনে মুখ্যসচিব


ইন্ডিয়া জোট গঠনের আগে সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল কংগ্রেস-সিপিএম, ধূপগুড়িতে সেই তাদেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হল! নেপথ্য়ে কী কারণ? এই প্রশ্নও উঠছে, ধূপগুড়িতে তৃণমূল বিজেপিকে হারানোর পর কি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে জোট বাধায় আগ্রহী হবে কংগ্রেস হাইকম্য়ান্ড? লোকসভা নির্বাচনে কি সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট থাকবে না? যদিও, ধূপগুড়ির হারের পরও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন অধীর চৌধুরী।প্রদেশ কংগ্রেস  সভাপতি  অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'তৃণমূল চোর ও লুটেরাদের দল। এদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বজায় থাকবে। আমরা জোটের নৈতিকতার স্বার্থে সিপিএমকে সমর্থন করেছি।'