সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  রাতের অন্ধকারে আইএসএফের পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বাদুড়িয়ার নারায়ণপুর বাজারে উত্তেজনা। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে পতাকা ছেঁড়ার ছবি। ছবিতে মুখে কাপড় বাঁধা এক ব্যক্তিকে পতাকা ছিঁড়তে দেখা গিয়েছে। নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আইএসএফ।


একই সুরে বিজেপির দাবি, ভয় পেয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে শাসকদল অভিযোগ উড়িয়ে বাদুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়কের দাবি, শাসকদলকে বদনাম করতেই এই অপচেষ্টা। 


বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ। ভাঙড়কে কেন্দ্র করে বারবার ঝামেলা হয়েছে দুই দলের মধ্যে। এবার বাদুড়িয়াতেও এমন ঘটনা। কয়েকদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় সংঘর্ষ হয়েছিল তৃণমূল ও আইএসএফ-এর। দেগঙ্গার (Deganga) বেড়াচাঁপা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইয়াজপুর এলাকায় ঝামেলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় বোবা প্রতিবন্ধী আই এস এফ কর্মীকে মারধর কর হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এক তৃণমূল কর্মীকে আই এস এফ এর (ISF Worker) কর্মীরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মারধর করেছে। ঘটনায় দুই পক্ষের দুজন আহত হয়। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী বাবুসোনা মণ্ডলের অভিযোগ, ১১ জন আইএসএফ কর্মী মিলে বাঁশের লাঠি নিয়ে তাঁকে  মারধর করে আইএসএফ  কর্মী প্রতিবন্ধী ঝন্টু মন্ডলের লোকজন। এদিকে আইএসএফ (ISF Worker) কর্মী ঝন্টু মন্ডল কথা বলতে পারেন না। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ আইএসএফকে সমর্থন করি এই আক্রোশ ছিল। এদিন সকালে মির্জানগর বাজারে একটি আলুর দোকানে ঝন্টু মন্ডলকে মারধর করে তৃণমূলের কর্মীরা। এরপর সমস্যা  সমাধানের নামে সন্ধেবেলা আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে গিয়ে মারধর করে মির্জানগর এলাকার  তৃণমূল কর্মীরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।


তৃণমূলে যোগ:
সওকাত মোল্লার হাত ধরে ভাঙড়ের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের রানিগাছি ১৪৮ নং বুথের মিন্টু শিকারির ভাই সহ প্রায় ১০০ আইএসএফ কর্মী যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে। বুধবার রাতে জীবনতলা এলাকায় বিধায়ক কার্যালয় থেকে যোগ দেয় আইএসএফের কর্মীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা করে এই যোগদান বলে জানান আইএসএফ কর্মীরা। নওশাদ সিদ্দিকি বিধায়ক হওয়ার পর এলাকায় কোনও উন্নয়ন করতে পারেনি। বিপদে আপদে তাঁকে পাওয়া যায় না। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা করে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আইএসএফ কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে জানান সওকাত মোল্লা।


সম্প্রতি আইএসএফ-এর বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মাসখানেকেরও বেশি জেলবন্দি থাকার পরে হাইকোর্টে জামিন পান তিনি। সেই সময় থেকেই বারবার তরজা হয়েছে ২ দলের মধ্যে। আইএসএফ-কে ভয় পেয়ে বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালী তকমা ঘোচাতে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কাজে লাগাতে চান শান্তনু, খবর ইডি সূত্রে