সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দিন ক্ষণ এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়ছে বাংলায়। তৃণমূলের (TMC) তরফে যেমন 'দিদির দূত' (Didir Doot), 'দিদির সুরক্ষাকবচ'-এর মতো কর্মসূচি চালু করে জনসংযোগ বাড়ানো হচ্ছে, পিছিয়ে নেই বিরোধী দলগুলিও। তা নিয়েও চলছে টানাপোড়েন। কোথাও তৃণমূলের 'দিদির দূত'দের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে, তার পাল্টা বিজেপি-র কর্মসূচি বানচাল করার হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে জোড়াফুল শিবির থেকেও। 


'দিদির সুরক্ষাকবচ'-এর মতো কর্মসূচি চালু করে জনসংযোগ বাড়ানো হচ্ছে তৃণমূলের তরফে


আর এই আবহেই দলের সকলকে সতর্ক করার পাশাপাশি আচার-আচরণ নিয়ে বেশি কিছু নিদানও দিলেন তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী (Narayan Goswami)। তাঁর মতে, মূলত অল্পবয়সি ছেলেমেয়ে, ভাল ফোন, কম্পিউটার চালানোয় দক্ষ যাঁরা, তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নেতাদের থেকে আলাদা। কিন্তু তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয় যাতে কর্মসূচিতে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, তা নিয়ে সকলকে সতর্ক করলেন নারায়ণ। 


'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি নিয়ে দলীয় সমাবেশে এমন সতর্কবার্তা দেন নারায়ণ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "বাড়িতে বাড়িতে আমাদের 'দিদির দূত'রা যাবেন। তাঁদের কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে যে, আমরা কার দূত! 'দিদির দূত'। ভোটাররা কী মনে করবেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন, তাঁর দূতরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই কাছাকাছি হবেন। আচার ব্যবহার, কথাবার্তা, নম্রতা, ভদ্রতা, সহনশীলতা ততটাই হবে। এটা কিন্তু আমাদের সকলকে মাথায় রাখতে হবে।"


আরও পড়ুন: Meghalaya: মেন্দিপাথার বিধানসভা কেন্দ্রে আজ প্রথম নির্বাচনী সভা মমতার, থাকছেন অভিষেকও


এর পরই 'দিদির দূত'দের আচার ব্যবহার নিয়ে নিদান শোনান নারায়ণ। তিনি বলেন, " 'দিদির দূত'দের অনেকেই যেহেতু অল্পবয়সি ছেলে, তাঁদের নিশ্চয়ই বলে দেবে আইটি সেল, তবু বলব, এঁরা সব বাচ্চা ছেলে, কম্পিউটার বা ভাল মোবাইল চালাতে পারেন। এঁদের বয়স কম। তাই ব্যক্তিগত রুচিবোধও আলাদা হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখি, চুল এমন (কায়দা) করে কাটা, এখানে লাল, ওখানে দুল। এ সব করা যাবে না। আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত, 'দিদির দূত', এটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে।"


'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি নিয়ে দলীয় সমাবেশে এমন সতর্কবার্তা দেন নারায়ণ


এর আগে, সম্প্রতি দত্তপুকুরে 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচি চলাকালীনই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনে বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতিকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। তা নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩২৩ (মারধর), ৩৪১ (বাধাদান) এবং ৫০৬, হুমকি-সহ একাধিক ধারায় মামলাও দায়ের হয়। তাতে তুমুল বিতর্ক হয়। তৃণমূল যদিও বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতিকেই কাঠগড়ায় তোলে। তিনি কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে এসেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। আগামী দিনে তার পুনরাবৃত্তি রুখতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।