সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটি পুর (Panihati Municipality) এলাকায় গত কয়েকদিনে প্রায় ৩০০ জন করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন। আর তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানিহাটি পুরসভার মাতৃ সদনে ৩০ শয্যার সেফ হোম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে যেখানে বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, বাড়ি ধরে মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট (Micro Containment Zone) জোন নয়। একটা ওয়ার্ডকে ক্লাস্টার করে মাইক কনটেইনমেন্ট জোন করতে চাইছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই সেইভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।


করোনা গ্রাসে গোটা রাজ্য। আশঙ্কা সত্যি করে শেষমেশ আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave)। সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার (Kolkata) পরেই নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas)। কলকাতার পিছু নিয়ে, উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমণও লাফিয়ে বাড়ছে। আর তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। এর আগে  ব্যারাকপুর (Barrackpore) বি এন বোস মহাকুমা হাসপাতালে (BN Bose Sub-Divisional Hospital) চালু হল ৬০ বেডের কোভিড হাসপাতাল (Covid19 Hospital)। এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ১২০টি বেডের ছিল।  প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্যারাকপুর এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কম। ব্যারাকপুর পুরসভা প্রশাসক উত্তম দাস বলেন, সেই কারণেই আপাতত ৬০ বেডের হাসপাতাল চালু হচ্ছে। আর এবার সেফ হোম চালু হচ্ছে পানিহাটিতে।


পানিহাটি পুরসভা সূত্রে খবর, ৪, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ২৭, ৩০, ৩২, ৩৩ ও ৩৫ - এই ১০টি ওয়ার্ড ধরে ক্লাস্টার হিসেবে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। গোবরডাঙাতেও (Gobardanga) বাড়ছে সংক্রমণ। এক সপ্তাহে আক্রান্ত ১৪ জন। এদের মধ্যে ৫ জন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেফ হোম। তৈরি করা রয়েছে ৫ বেডের অক্সিজেন পার্লার। 


আরও পড়ুন: Corona in JNM Hospital Kalyani: কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৭