Weather Update:  রাজ্যের অন্যত্র ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়লেও মাঝ সপ্তাহে তার ছিটেফোটোও পাবে না দুই দিনাজপুর। উল্টে তাপমাত্রা চড়বে চরমে। সকাল থেকেই তীব্র রোদে নাজেহাল হবে জেলার মানুষ। তবে আদ্রতা বেশি না থাকায় ঘাম হবে না সেরকম। যদিও 'হিট ওয়েভ'-এর সম্ভাবনা বেশি। সেই ক্ষেত্রে জ্বালা ধরবে ত্বকে।  


হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, সকাল ৯টার আগেই ৩৩ ডিগ্রি ছাড়াবে তাপমাত্রা। দুপুর হতে হতেই এই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দিন রোদ থাকলেও বিকেলে কালবৈশাখী বা বৃষ্টি হওয়ার সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই .দিনভর পরিষ্কার থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের আকাশ।  


কী বলছে রাজ্য়ের আবহাওয়া ?


হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামানসাগরে নিম্নচাপ আজ সকালে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই এলাকাতেই আরও শক্তিশালী হয়ে আজ সন্ধ্যের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর আন্দামান সাগর এবং পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় আজ রাতের মধ্যেই অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই এলাকাতেই অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বুধবার।


আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কোন পথে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ?


ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবার সময় এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর পশ্চিমদিকে অগ্রসর হবে। কিছুটা তামিলনাডু উপকূলের দিকে এগিয়ে একটি পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। বৃহস্পতিবার ১১ মে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আবার বাঁক নেবে। গতিপথ পরিবর্তন করে এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।


শেষপর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে এই সিস্টেম প্রবেশ না করলে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টি ও সামান্য ঝোড়ো বাতাস ছাড়া আর কোনও প্রভাব সেভাবে পড়বে না বলেই অনুমান আবহাওয়াবিদদের। ঘূর্ণিঝড় মোকা কতটা এলাকা নিয়ে বিস্তৃত হয় বা কতটা সময় নিয়ে শক্তিশালী হয় ? তার ওপরই এখন নির্ভর করছে আমাদের রাজ্যের উপকূলে কতটা প্রভাব পড়বে। এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের মানুষ। একবার ঝড় টলে গেলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন বঙ্গবাসীরা। এখন ঝড় কোন দিকে যেতে পারে তা অনুমান করছেন আবহবিদরা।