রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: টানা ১১ দিনের লড়াই শেষ। শেষ আর্তি ছিল একটাই, যে ক'টা দিন বাঁচবেন যেন বাড়িতে থাকতে পারেন। কিন্তু হাসপাতালের (Hospital) অনুমতি না মেলায় বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে যেতে পারেননি নির্যাতিতার বাবা। আজ ভোরবেলা যখন লড়াই থামল তাঁর মেয়ের, তখন বাবার গলায় অভিযোগের সুর।
কী ঘটেছিল?
অভিযোগ, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িতে (Maynaguri) বাড়িতে একা পেয়ে স্থানীয় এক যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে এক নাবালিকাকে। কোনওক্রমে রক্ষা পেয়ে প্রাণে বেঁচেছিল নাবালিকা। এরপর অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হলেও পরে আগাম জামিন নিয়ে মুক্তি পায় সে, এমনটাই জানা যায়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত ১৩ এপ্রিল অভিযুক্তর সঙ্গীরা কেস তুলে নিতে বলে নাবালিকার বাড়ি এসে খুনের হুমকিও দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা পদাধিকারীদের গ্রুপ ছাড়লেন শুভেন্দু, বাড়ল জল্পনা
আর এরপরই আতঙ্ক গ্রাস করে নাবালিকাকে। পরের দিনই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। তাকে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ১১ দিনের লড়াই শেষে আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
বাবার দাবি, "গতকাল থেকেই বাড়ি যেতে চেয়েছিল মেয়ে। বলছিল যে দুই দিন বাড়িতেই থাকতে চাই। কিন্তু ডাক্তারের অনুমতি না মেলায় বাড়ি নিয়ে যেতে পারিনি। আজ ভোর রাত থেকেই ছটফট করতে থাকে মেয়ে।" লড়াইয়ের ময়দানে শেষরক্ষা হল না নাবালিকার। তার মৃত্যুতে সুরক্ষা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ফের মাথাচাড়া দিয়ে গেল।