শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: মানসাই, রায়ডাকের পর এবার কোচবিহারের (Coochbehar) তোর্সা (Torsa) নদীতে জারি হল হলুদ সতর্কতা। বর্ষার শুরুতেই উত্তরবঙ্গজুড়ে (North Bengal) প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে বিভিন্ন নদীর জলস্তর।
জল বাড়ায় কোচবিহার শহরের কেশব আশ্রম থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তোর্সা নদীর সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত দুই এলাকাতেই হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। নদী তীরবর্তী নীচু এলাকায় প্রায় সব বাড়িতেই জল ঢুকেছে। বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগে মাথাভাঙার মানসাই ও তুফানগঞ্জের রায়ডাক নদীতেও জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। বেশ কিছু জায়গায় ভারি বৃষ্টি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের এই জেলা গুলিতেই একটু বেশিই বৃষ্টি হবে। ১৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বলে জানান হয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং এ, ভূমিধসের সম্ভবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীতে জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভবনা থাকছে।
আরও পড়ুন, কলকাতার আকাশে ঘন কালো মেঘ, কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি
অন্যদিকে, অসমে বন্যায় আরও নয় জনের মৃত্যু। এ নিয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৪। শুক্রবার এমনই জানিয়েছে অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। অসমের হোজাই, নলবাড়ি, বাজালি, ধুবরি, কামরুপ, কোকড়াঝাড়, সোনিতপুর জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির জেরে ২৮টি জেলার ১৮.৯৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বন্যার জেরে এই মুহূর্তে অসমের ২ হাজার ৯৩০টি গ্রাম জলের তলায়। বন্যা-কবলিত জেলার ৪৩৩৩৮.৩৯ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। রাজ্যের বেকি, মানস, পালগাদিয়া, পুথিমারি, জিয়া ভারালি, কপিলি ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে। হরিয়ানা থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা। অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিম ও অসম এর উপর দিয়ে গেছে।