নয়া দিল্লি : অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের বিরোধিতায় আজ বিহার বনধের ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। ২৪ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। বিহারের (Bihar) সমস্ত বিরোধী দল এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বনধকে সমর্থন জানিয়েছে আরজেডি। বিজেপির শরিক দল আওয়াম হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা সেক্যুলারও বনধকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে। বিহারের ১২ টি জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।
অগ্নিপথের বিরোধিতায় দেশজুড়ে চড়ছে বিক্ষোভ-আন্দোলনের আঁচ। ক্রমশ ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে সেনায় চাকরির স্বপ্ন দেখা, তরুণদের আক্রোশ। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, তেলঙ্গানা, দিল্লি-সহ দেশের ১৩টি রাজ্যে হিংসা ছড়িয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন। লখিসরাই এবং সেকেন্দ্রাবাদে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।
‘অগ্নিপথ’ ঘিরে অগ্নিগর্ভ দেশ-
‘অগ্নিপথ’ ঘিরে অগ্নিগর্ভ দেশ। উত্তর থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ, ক্ষোভের আগুন ছড়াচ্ছে একের পর এক রাজ্যে। আগুন-ভাঙচুর-গুলি-কাঁদানে গ্যাস, ধরপাকড় বাদ যাচ্ছে না কিছুই। পরপর জ্বলছে ট্রেন। আগুনের লেলিহান শিখা...আর ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। পুড়ে ছাই স্টেশন থেকে টোল প্লাজা। ক্রমশ ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে সেনায় চাকরির স্বপ্ন দেখা, তরুণদের আক্রোশ।
আরও পড়ুন ; জ্বলছে একের পর এক ট্রেন, অগ্নিপথ-বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা রেলমন্ত্রীর ?
মোদি সরকারের নিয়োগ প্রকল্পের বিভিন্ন শর্তের বিরোধিতায়, বিহারে ৬টি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বখতিয়ারপুর থেকে কুলহারিয়ায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ট্রেন। স্টেশন থেকে শুরু করে বাস, ব্যাপক ভাঙচুর চালায় চাকরিপ্রার্থীরা। বিহারে বিজেপির শীর্ষ নেতা ও উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সাসারামে বিজেপি পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেনার চাকরিপ্রার্থীরা।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতেও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীতে বাস ভাঙচুর করে চাকরিপ্রার্থীরা, তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদেও ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা ট্রেন জ্বালিয়ে দেয়। রাজস্থানের ভরতপুরে উপড়ে ফেলা হয় রেল লাইন। সেকেন্দ্রাবাদে পুলিশের গুলিতে এক চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বিহারের লখিসরাইয়ে এক ট্রেন যাত্রী অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন । রাস্তায় ইট-পাথরবৃষ্টি। বিপর্যস্ত জনজীবন। অগ্নিপথের আঁচ বাংলাতেও।