রাজা চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার : উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ দুর্যোগের বিরাম নেই। বর্ষার প্রবেশ থেকেই ক্রমেই বাড়ছে দুর্যোগ। পাহাড় ও পাদদেশীয় অঞ্চলে চলছে অবিরাম বৃষ্টি। এরই মধ্যে আরও ভয়াবহ ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া অফিস। কোথাও লাল সতর্কতা, কোথাও কমলা সতর্কতা, কোথাও হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বানভাসী জলপাইগুড়ি পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড,  মালবাজারের টোটগাও গ্রাম।                     

  


একে প্রচন্ড বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে তিস্তা ব্যারেজ থেকে শনিবার সকাল ৬ টায় ২৯৬৯.০২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তার জেরে দু কূল ছাপিয়েছে তিস্তা নদী। ধীরে ধীরে গ্রাস করছে গ্রামকে। দোমোহনিতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর । পাহাড়ের পাদদেশ পেরিয়ে একেবারে সমতলেও লাগাতার বৃষ্টি চলছে। তার জেরে পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। 




বৃষ্টি যত বাড়ছে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে উত্তরবঙ্গের পর্বত পাদদেশীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের কথায় , তিস্তার জল ঢুকে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০ এর বেশি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে,। বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথায় রাস্তা আর কোথায় কৃষি জমি দেখে বোঝার উপায় নেই। গ্রামে ঢোকার রাস্তা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই জলমগ্ন, নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। প্রতিবছর বর্ষা এলেই এই এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়ে তবে এবছর পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ।  তিস্তার এমন ভয়াল রূপ দেখে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।             


অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে কোচবিহারের নদীগুলিও। মাথাভাঙ্গার মানসাই নদীতে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তোর্সা নদীতে বাড়ছে জল। জল বাড়ছে তুফানগঞ্জ এর রায়ডাক ও সংকোষ নদীতে। গত ২৪ ঘন্টায় কোচবিহারে বৃষ্টি হয়েছে ১২৫ মিলিমিটার, তুফানগঞ্জ ১৪৬  মিলিমিটার এবং মাথাভাঙ্গায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১১৩ মিলিমিটার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।   


পনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: OMR Sheet: OMR-এর ডেটা উদ্ধার করতে ঝাঁপানোর নির্দেশ, কার কার সাহায্য নিতে পারবে CBI, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট