সনত্‍ ঝা, দার্জিলিং: উত্তরবঙ্গে (Uttarbanga) ৫ বিজেপি নেতার (BJP Leader) ইস্তফার ইচ্ছে প্রকাশ ঘিরে জল্পনা! তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা? যদিও জেলা বিজেপি (BJP) সভাপতি সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। উত্তর এসেছে তৃণমূলের (TMC) তরফেও। কিন্তু এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিক্ষুব্ধ নেতারা। 


পুরভোটের (Municipality Vote) মুখে উত্তরবঙ্গে ৫ বিজেপি নেতার পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ। এর পরেই বিক্ষুব্ধ ৫ বিজেপি নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা! ৫ নেতা দলেই আছেন, প্রতিক্রিয়া বিজেপি জেলা সভাপতির! 


এই ঘটনা ঘিরে এখন তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর চরমে উঠেছে উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে! বিজেপি সূত্রে খবর,সম্প্রতি ব্যক্তিগত কারণে দলের কাজ করতে না পারার কথা বলে পদত্যাগের ইচ্ছেপ্রকাশ করেন দার্জিলিং জেলার ৫ নেতা। 


নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে দার্জিলিং জেলা সমতলের বিজেপি সভাপতিকে আলাদা আলাদা করে চিঠিও দেন। ওই পাঁচ বিজেপি নেতা হলেন, দার্জিলিংয়ে যুব মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সরকার। যুব মোর্চার জেলা-সহ সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল, দার্জিলিং জেলার ৮ নম্বর মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি রাজীব চন্দ। ৪ নম্বর মণ্ডলের যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী এবং ৭ নম্বর মণ্ডলের যুব মোর্চার সহ সভাপতি সঞ্জু রায়। 


এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাঁচ বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়। সূত্রের খবর, 
এরপরই বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলা বিজেপির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল। মঙ্গলবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বিজেপির জেলা সভাপতি জানিয়ে দেন, কেউ পদত্যাগ করেননি। ৫ নেতার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল। কিন্তু তা মিটে গেছে। দলের হয়েই কাজ করবেন ওই নেতারা। 


অন্যদিকে সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ ৫ বিজেপি নেতাকে দলে নেওয়ার বিষয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন মেলেনি। প্রশ্ন উঠছে, সেইজন্যই কি মনোমালিন্য ভুলে দলে থেকে গেলেন ৫ বিজেপি নেতা? তেমনটা অবশ্য মানতে নারাজ বিজেপি। এই ঘটনায় গেরুয়া শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। 


দার্জিলিং জেলার বিজেপি সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল জানিয়েছেন, লোকসভায়, বিধানসভায় এখানে বিজেপির আধিপত্য। ভয় দেখানো, লোভ দেখিয়ে দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ ওদের বুঝে ফেলেছে। তৃণমূলের এই ভয় দেখানো সফল হবে না। 


তাঁদের অবস্থান জানতে চেয়ে পাঁচ বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযগ করা হলেও, এ বিষয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি!