কলকাতা: থ্রেট কালচারের অভিযোগে বহিষ্কারের পরে হঠাৎ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের কাউন্সিল (North Bengal Medical College) বৈঠকে শাস্তি কমল ৫ ছাত্র-ছাত্রীর। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরোপুরি বহিষ্কার নয়, একটি সেমিস্টার থেকে বহিষ্কারের করা হবে। 


পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। সোমবার মোট ১২ জনকে সাসপেন্ড করে কলেজ কাউন্সিল। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করে গতকাল রাত ৮টার পর অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় ৫ সাসপেন্ডেড পড়ুয়া। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অবস্থানেও বসেন তাঁরা। এরপর তড়িঘড়ি রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত চলে বৈঠক। এরপরই ৫ পড়ুয়ার সাসপেনশন স্থগিত রাখার কথা জানান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। প্রশ্ন উঠছে, ‘থ্রেট কালচার’-এ অভিযুক্তদের হুমকির মুখেই কি সাসপেনশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত? কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায় এদিন দুপুরে বৈঠকে ৫ পড়ুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। সেই আলোচনার পর পুরোপুরি বহিষ্কার থেকে সরে আসা হয়। সিদ্ধান্ত হয় অভিযুক্তদের শুধুমাত্র একটা সেমিস্টার থেকে বহিষ্কার করা হয়। 


এদিকে কলকাতার বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারিতে ভর্তি করিয়ে দেবেন বলে ৮ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নামে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির ঘটনা। ছাত্রের বাবার অভিযোগ, ২০২১ সালে টাকা নিয়েও ওই পড়ুয়াকে ভর্তি করতে পারেননি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। টাকাও ফেরত দিতে চাননি। অভিযোগকারীর দাবি, সেইসময় প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন ছাত্রের বাবা। আদালতের নির্দেশে ২০২১-এ জলঙ্গি থানায় বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়। তবে এতদিন টাকা না দিলেও অভিযোগকারীর দাবি, গত সপ্তাহে বিরূপাক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি ধাপে ধাপে টাকা ফেরতের আশ্বাস দেন এবং প্রথম ধাপে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।                               


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Hooghly News: চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের প্রতিবাদ, হুগলির হাসপাতালে পেন ডাউন চিকিৎসকদের