রাজা চট্টোপাধ্যায় , সনৎ ঝা, মোহন প্রসাদ , উমেশ তামাং, দার্জিলিং :   পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি। জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। চলছে মাইকে প্রচার।


তিস্তা ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে জলপাইগুড়িতে তিস্তা ও জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা। তিস্তায় জল বাড়ায়, জলপাইগুড়ি পুরসভার বিবেকাননন্দ পল্লি ও সারদা পল্লি এলাকা জলমগ্ন। রাতে এলাকা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। জলপাইগুড়ি পুর-এলাকা ছাড়াও জলমগ্ন ক্রান্তি, মৌয়ামারি, চাঁপাডাঙা, নন্দনপুর, বোয়ালমারি ও পাতকাটা এলাকা। এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। 


দেখুন :


Darjeeling Rian: রাত থেকে দার্জিলিংয়ে শুরু টানা বৃষ্টি, ঘরবন্দি বাসিন্দারা | Bangla News | ABP Ananda Videos


পাশাপাশি, কালিম্পঙে মেঘ ফেটে বৃষ্টি। তিস্তার জলে ডুবে গিয়েছে পাহাড়ি রাস্তাও। সেবকের কাছে আটকে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি। কালিম্পং ও গ্যাংটকগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের তিনমাইল ও ২৯ মাইলে ধস নামে। ফলে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি। মংপুতে রাস্তায় গাছ উপড়ে শিলিগুড়ি-কালিম্পং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।


অতি বৃষ্টির জেরে গতকাল দার্জিলিং স্টেশনের কাছেও পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমেছে। কার্শিয়ং পুর-এলাকায় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।


আরও পড়ুন : 


বৃষ্টিতে দার্জিলিংয়ে ধসে পড়ল বাড়ি, মৃত শিশু সহ ৩


সোমবার রাত থেকেই অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পং-এ! পাহাড়ে বসেই অনেকে আবার পাহাড় দেখছেন অনলাইনে।  কলকাতা থেকে আসা পর্যটক তন্ময় চক্রবর্তী জানালেন., যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে দার্জিলিং-এ থেকে অনলাইন ট্যুর করছি। বাংলা ও উত্তর ওড়িশা উপকূলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বিহারের দিকে সরে যাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গবাসী বৃষ্টির হাত থেকে কিছুটা রেহাই পেলেও, দুর্যোগ ঘণীভূত উত্তরে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছাতা মাথাতেই থাকতে হবে পাহাড়কে, এমনই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।


এদিকে আশঙ্কা বাড়িয়ে কালিম্পং-এর একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই নেমেছে ধস! প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টিতে গোকে থেকে সিঙ্গল বাজার সড়কে নেমেছে ধস। রিম্বিকের একটি লোহার সেতুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রবল বৃষ্টিতে। ব্যাহত হয়েছে সুখিয়াপোখরি থেকে মানেভঞ্জন পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন সান্দাকফু ও মানেভঞ্জনে। তবে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রোহিণীর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।