উমেশ তামাং, দার্জিলিং: অবিরাম বৃষ্টিতে ধস নেমেছে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ। বিরিক দারা ও কালীঝোলা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ক্রমাগত পড়ছে বোল্ডার। এবার ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। ফুঁসছে তিস্তা। কালিম্পঙে টানা বৃষ্টিতে নতুন করে ধস নেমেছে তিস্তাবাজারের চিত্রে এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিঙের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধস নেমেছে দার্জিলিঙের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। 


এদিকে, বিপদসীমা ছাড়িয়েছে তিস্তার জল। ভারী বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে তিস্তায়। ফলে দার্জিলিং-কালিম্পং রোডে তিস্তা ব্রিজের ওপর দিয়ে জল বইছে। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বন্ধ রয়েছে রাস্তা। ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে যান চলাচল বন্ধ, বিপর্যস্ত জনজীবন। পুজোর মুখে ফের উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। 


এদিকে, পরিস্থিতি উন্নতির কোনও দিশাও দেখা যাচ্ছে না। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে সোমবার পর্যন্ত ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে আজ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, বৃষ্টি হতে পারে রবিবার পর্যন্ত।এছাড়াও, উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। 


আরও পড়ুন, ছাদ থেকে পড়েও ভাঙেনি হাড়, নেই 'সঠিক' কারণও, বর্ধমান মেডিক্যালে জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু নিয়ে আজও রহস্য!


অন্যদিকে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে স্বস্তি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও, আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সকাল থেকে মেঘ-রোদের লুকোচুরি চলছে। কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় কখনও-সখনও দু’-এক পশলা বৃষ্টিও হচ্ছে। বুধবার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। 


ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা রয়েছে কোচবিহার এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। নাগাড়ে বৃষ্টিতে দুই বঙ্গেই একাধিক নদীর জলস্তর বাড়তে পারে।                                                                                                                     



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে