সুদীপ চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ : একটি পুকুরের ধার থেকে উদ্ধার হল বহু ভোটার কার্ড। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বনকালী এলাকার ঘটনা । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ ভোটার কার্ডগুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।


বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে পরাস্ত করতে জাল ভোটার কার্ড মজুত করেছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর এই সচিত্র পরিচয়পত্রগুলি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই এগুলি পুকুরের ধারে ফেলে দিয়ে গেছে। ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি ।


যদিও বিজেপি-র অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পাল্টা অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জের বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি চুরি করে জয়ী হয়েছে। বিজেপি অভিযোগ- সর্বস্ব দল। তারা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেই রাজনীতি করে। পরীক্ষায় পাশ করার জন্য চুরি করে।


সোমবার সকালে বনকালী এলাকার একটি পুকুরের ধারে রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি ভোটার কার্ড পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে  এই পরিচয়পত্রগুলি কেউ বা কারা সেখানে ফেলে রেখে গিয়েছিল। কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফেলে যাওয়া ভোটার কার্ডগুলি পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ৬০ থেকে ৬২টি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে এই সচিত্র পরিচয়পত্রগুলি এখানে এল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 


এপ্রসঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, উদ্ধার হওয়া পরিচয়পত্রের অধিকাংশ কালিয়াগঞ্জ ব্লকের নয় নম্বর বরুনা অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জের মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করায় এধরনের ভুয়ো পরিচয়পত্রের কাজ করতে পারে তৃণমূল।


যদিও তৃণমূলের দাবি, যিনি এই বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তিনিই এই কাজ করে জয়ী হয়েছেন। ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাই কর্মীদের দিয়ে এগুলি ফেলে দিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে বিজেপি।