নয়া দিল্লি : অর্থ পাচার মামলায় সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর। সুকেশ চন্দ্রশেখর পরিচালিত বহু কোটি টাকার তোলাবাজি-চক্র সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে এই জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গেছে, সুকেশ চন্দ্রশেখর একজন "পরিচিত কনম্যান" যে ঘুষ সংক্রান্ত মামলারও আসামি। 


একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ইডি-র সূত্র জানিয়েছে, ৩৬ বছরের এই শ্রীলঙ্কান অভিনেত্রী অভিযুক্ত নন। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


গত ২৪ অগাস্ট তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল যে তারা, চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চেন্নাইয়ে একটি সমুদ্রমুখী বাংলো, ৮২.৫ লক্ষ নগদ টাকা এবং এক ডজন বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  প্রায় ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং তোলাবাজির অভিযোগে তার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার একটি এফআইআর -এর ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়েছে।


গত সপ্তাহের অভিযানের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সুকেশ চন্দ্রশেখর এই প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী। সে ১৭ বছর বয়স থেকে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর রয়েছে এবং বর্তমানে সে রোহিণী কারাগারে রয়েছে।


সুকেশ চন্দ্রশেখর নির্বাচন কমিটির কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য এআইএডিএমকে-এর 'আম্মা' দলের নেতা টিটিভি দিনাকরণের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই দলটির 'দুই পাতার' নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে বিরোধের জেরেই এই পদক্ষেপ বলে অভিযোগ। সে AIADMK(আম্মা) উপদলকে 'দুই পাতা' প্রতীক রাখতে সাহায্য করার জন্য ৫০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল বলে অভিযোগ। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে প্রায় ১.৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি।


প্রসঙ্গত জানা গেছে, ইডি-র তরফে এর আগে এই অভিনেত্রীকে শারীরিকভাবে তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল।