সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: পোষ্য কুকুর যখন অস্ত্র, প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে এক যুবককে খুবলে যাচ্ছে কুকুর ! এমনই ভয়াবহ অমানবিক ঘটনার স্বাক্ষী থাকল এবার রায়গঞ্জ। ধারালো অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র নয়, এবার পোষ্য কুকুরকে দিয়ে আক্রমণ করিয়ে এক যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের দৃশ্য ভাইরাল স্যোশাল মিডিয়ায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ায়।




মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জের বন্দর স্কুলরোডের বাসিন্দা দেবদ্যুতি রায় নামে এক যুবক মিলনপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বদীপ ঘোষের কাছে তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে লোহার রড দিয়ে প্রথমে আঘাত করে। তাকে মাটিতে ফেলেই বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এখানেই থেমে থাকেনি বিশ্বদীপ, এরপরই তার পোষ্য কয়েকটি কুকুরকে লেলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কুকুরের কামড়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর যখম হন দেবদ্যুতি রায়। 


এদিকে স্থানীয়দের কেউ কেউ এগিয়ে গেলেও চোখের সামনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে দেখেও কুকুরের ভয়ে কার্যত বাঁচানোর চেষ্টা করতে যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারেননি বলে স্থানীয়রা জানান। এদিকে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং শিউড়ে ওঠেন নেটিজনেরা। সেইসঙ্গে রায়গঞ্জ শহরে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি, পুলিশকে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হবে বলে রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে নিন্দা করেছে বিজেপিও।


এর আগে প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও,  চাঁদা না দেওয়ায় শিলিগুড়িতে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ! অভিযোগ, এক ব্যক্তির কাছে ৫০০ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তা না মেলায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দাবিমতো চাঁদা না দেওয়ায় প্রায় ৮ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল মহম্মদ জহুরীর।  দীর্ঘদিন ধরেই চলছে তোলাবাজি। এনিয়ে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


আরও পড়ুন, দার্জিলিঙে তুষারপাতের আশঙ্কা ! কুয়াশা সরিয়ে কালিম্পঙে উঁকি কাঞ্চনজঙ্ঘার, আগামীকাল কেমন থাকবে আবহাওয়া ?


৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল।  রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মহম্মদ জহুরী বাড়ির সামনে বসেছিলেন। সেই সময় ৮ থেকে ১০ জন এসে ৫০০ টাকা চাঁদা চায়। চাঁদা দিতে হবে বলে জোর করছিল তারা। অভিযোগ, তা না দিতে চাওয়ায় চলে মারধর, লাথি, ঘুষি। এরপর আহত অবস্থায় মহম্মদ জহুরীকে বাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।