উত্তর দিনাজপুর:  ফের উত্তর দিনাজপুরে বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা। এবার সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত রকম দলীয় কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার বার্তা দিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে বিধায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের সঙ্গে মতভেদের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। রায়গঞ্জের বিধায়ক তোপ দেগেছেন দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও।


নিজের  পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু বললেননি বিধায়ক। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে কী হবে, তা ভবিষ্যতই বলবে।  তিনি বলেছেন, জেলা কমিটি গঠন আমাকে না জানিয়েই করা হয়েছে।  বাসুদেববাবু সংগঠনের সবাইকে নিয়ে চলছেন না। তিনি মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে নিয়ে চলছেন।


বিজেপি জেলা সভাপতি এবং রায়গঞ্জের সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। গতকালই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। এবার রায়গঞ্জের বিধায়ক বেসুরো হওয়ায় গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে শাসকদল।


উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গ। ফের বিজেপিতে ভাঙন ধরল। গতকাল তৃণমূলে যোগ দিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়।গত বুধবারও বুধবারও শিলিগুড়িতে বিজেপির উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক। কিন্তু সপ্তাহ ঘোরার আগেই বিজেপি ছাড়লেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়।সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে প্রথমবার বিজেপিতে ভাঙন ধরাল তৃণমূল।এই নিয়ে ১ সপ্তাহে দল ছাড়লেন ৩ বিজেপি বিধায়ক।সোমবার তৃণমূলে যোগ দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।আর এরপর গতকাল শনিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়।


একুশে বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয়ী হয়। কিন্তু, ভোটের ফল প্রকাশের পর, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ফলে, বিজেপির বিধায়ক পদ কমে দাঁড়ায় ৭৫।এরপর তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা আরও কমে হয় ৭৪। তন্ময় ঘোষ ও বিশ্বজিত্‍ দাসের তৃণমূলে যোগদানের পর, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে হয় ৭২। এবার, সৌমেন রায়ের দলবদলের জেরে সেই সংখ্যা কমে হল ৭১।


বিধায়কদের দলবদল প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, গরু-ছাগল তো নয় যে আটকে রাখব। দলবদল এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।